অর্ন্তদ্বন্ধে উজিরপুর যুবদল সম্পাদক চুন্নু নিহত ॥ বিক্ষোভ

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিকে এ ঘটনায় দুপুর ১টায় উজিরপুরে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন বিক্ষোভ সমাবেশে দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছে।


জানা গেছে, স্থানীয় রাজনীতিতে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি  মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য এস সরফুদ্দীন আহমেদ সান্টু  গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সোমবার সান্টু সমর্থকরা উজিরপুরের ওটরা ডিগ্রি কলেজে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। ওই দিন একইস্থানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে আলাল সমর্থকরাও। এ নিয়ে দু’গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে যুবদলের সম্পাদক শাহ আলম চুন্ন গুরুতর আহত হয়। আহত চুন্নুকে প্রথমে বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় যুবদল নেতা চুন্নু মারা যান। চুন্নুর মরদেহ দেখতে ছুটে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এস সরফুদ্দীন আহমেদ সান্টু, উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বাদল, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি দুলাল হোসেন, বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সমীর ও বশির হোসেন বাবু।


যুবদল নেতার মৃত্যু খবর বরিশালে পৌঁছলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে যুবদলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। দুপুরে উজিরপুর শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের ইছলাদি বাসস্ট্যান্ডে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হুমায়ুন খান, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শাহাদাত হোসেন, শ্রমিক নেতা মুক্তার হোসেন, যুবদল নেতা মো. শাহীন শিকদার, মনিরুজ্জামান লিখন, মহিলা নেত্রী সেতারা বেগম, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহাবুদ্দীন সাবু, ছাত্রনেতা আফম সামসুদ্দোহা আজাদ প্রমুখ।


বিএনপি নেতা এস সরফুদ্দীন আহমেদ সান্টু জানান, যাদের হামলায় যুবদল নেতা মারা গেছে তারা সংস্কারপন্থি। তারা বিএনপির ছত্রছায়ায় থেকে দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ গ্রুপটি দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেছে। হামলাকারীরা দলের বহিস্কৃত। এদের তিনি দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন।


এদিকে আলাল সমর্থক যুবদল নেতা বিপ্লব মোল্লার ব্যাক্তিগত সেল ফোনে একাধিক বার ফোন করা হলেও বন্ধ পাওয়া গেছে।