পুলিশের উপস্থিতিতে দু’দল গ্রামবাসির সংঘর্ষ

হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে আগৈলঝাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী রত্নপুর গ্রামে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা গেছে, রত্নপুর গ্রামের সীমান্তবর্তী স্লুইজগেট নামকস্থানের দিনমজুর সিরাজুল ইসলাম সরদারের একাকি নিরর্জন ঘরে শনিবার সন্ধ্যায় প্রেমিকাকে নিয়ে প্রবেশ করে পাশ্ববর্তী শোলক গ্রামের রহিম সরদার। অসামাজিক কর্মকান্ড চলাকালে গৃহকর্তা সিরাজুলের স্ত্রী রোজিনা বেগম বাড়িতে ফিরে প্রেমিক জুটিকে বাঁধা দেয়। এনিয়ে তার (রোজিনার) সাথে তাদের বাতবিতন্ডা বাঁধে। একপর্যায়ে রহিম গৃহকত্রী রোজিনাকে মারধর করে। রোজিনার ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে রহিমকে মারধর করে আটকিয়ে রাখে। মোবাইল ফোনে এখবর পেয়ে রহিমের চাচা শোলক ইউনিয়নের সদস্য করিম সরদার ধামুড়া পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেয়। কিছুক্ষন পর করিম সরদারের নেতৃত্বে শোলক গ্রামবাসি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রতœপুর গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালায়। দিনমজুর সিরাজুল ইসলাম সরদার অভিযোগ করেন ধামুড়া পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশদের উপস্থিতিতে ইউপি সদস্য করিম ও তার সহযোগীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

হামলা ও পাল্টা হামলায় রতপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, হালিম সরদার, জামাল হোসেন, সবুজ সরদার, রোজিনা বেগম, শাবানা বেগম, জাহিদুল ইসলাম, রনি সরদার, শাহজাহান হাদী, মানিক সরদার, শোলক গ্রামের সুমন আহম্মেদ, রহিম সরদার, আনোয়ার হোসেন, আলাউদ্দিন, রফিকুল ইসলামসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।