মিথ্যে বিয়ের এফিডেভিট দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্ত ॥ স্কুলে যাওয়া বন্ধ

বকতিয়ার নামের এক বখাটে উত্ত্যক্ত করায় স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে স্কুল ছাত্রী। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে স্কুল ছাত্রী আয়শা আক্তার (১৪) বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

 

মামলার বিবরনে প্রকাশ, উপজেলার নরসিংহলপট্টি গ্রামের ভ্যানচালক দেলোয়ার সরদারের কন্যা ও গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী আয়শা আক্তার।  দীর্ঘদিন থেকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে পাশ্ববর্তী আগৈলঝাড়া উপজেলার চাঁত্রিশিরা গ্রামের প্রভাবশালী হায়দার আলী বকতিয়ারের বখাটে পুত্র শামীম বকতিয়ার (২৫) মোটরসাইকেল নিয়ে ব্যারিকেট দিয়ে স্কুল ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাবে নানা ধরনের উত্যক্ত করে আসছিলো। বিষয়টি স্কুল ছাত্রী তার অভিভাবক ও স্কুলের শিক্ষকদের জানায়। তারা বখাটে শামীমের পিতা হায়দার আলীর কাছে বিচার দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শামীম কৌশলে মোবাইল ফোনে স্কুল ছাত্রীর ছবি তুলে বিয়ের মিথ্যে কোর্ট এফিডেভিটের ফটোকপি দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে স্ত্রী দাবি করে। এছাড়াও বখাটে শামীম একাধিকবার তার সহযোগীদের নিয়ে স্কুল ছাত্রীকে অপহরনের চেষ্টা চালায়। বখাটের অব্যাহত হুমকিরমুখে স্কুল ছাত্রীর পরিবার তার (আয়শার) স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার স্কুল ছাত্রী আয়শা খানম বাদি হয়ে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে শামীমসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। বিচারক মোঃ আবুল হোসেন মিয়া বরিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতিকে তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।  

স্কুল ছাত্রী আয়শা খানম বলেন, বখাটে শামীম বকতিয়ার গত একবছর ধরে আমাকে নানাধরনের উত্যক্ত করে আসছে। চাঁদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাইফুর রহমান কচি বলেন, আমরা কয়েক মাস আগে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে বসেছিলাম। সেখানে প্রমাণ পেয়েছি বিয়ের এফিডেভিটটি সম্পূর্ণ ভূয়া। গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আতাউর রহমান বলেন, শামীমের বখাটেপনার বিষয়টি ইতোমধ্যে শুনেছি। এরপর শামীমকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শুরুতে সে ওই ছাত্রীকে তার স্ত্রী দাবি করে কোর্ট এফিডেভিট দেখায়। তিনি আরো বলেন, আয়শা একজন মেধাবী ছাত্রী শামীমের বখাটেপনার কারনে গত ১৫দিন ধরে আয়শা স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।