বরিশালে এক শিক্ষক নেতা অবৈধভাবে প্রধান শিক্ষকের পদে বহাল

দেখিয়ে অবৈধভাবে নগরীর বগুড়া রোডের শ্রী চৈতন্য গবিন্দ মোহন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (এসসিজিএম) প্রধান শিক্ষকের পদ দখল করে রয়েছেন। শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষও বলছে নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে ম্যানেজিং কমিটি তাকে প্রধান শিক্ষকের পদে ফের বহাল রেখেছে।


জানাগেছে, দাস গুপ্ত আশীষ কুমার ২০০৯ সালের ৭ এপ্রিল এসসিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অবসরে যান।এরপর তার অনুরোধে ম্যানেজিং কমিটি তাকে পুনরায় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে বসান।কিন্তু ২০০৫ সালের বিধানানুযায়ী কোন স্কুলের প্রধান শিক্ষক অবসরে গেলে নতুন করে তার দায়িত্ব বর্ধিত করা যাবে না।এ নিয়মকে তোয়াক্কা না করেই ম্যানেজিং কমিটি তাকে প্রধান শিক্ষকের পদে বহাল রেখেছে।তিনি বিদ্যালয়ের সকল সরকারী কাগজ পত্রে নিয়মবহিভূতভাবে স্বাক্ষরও করছে।বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা বিষয়টি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না।তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছে দাস গুপ্ত আশীষ কুমারের প্রধান শিক্ষকের পদে আসীন থাকার বিষয়টি বিস্ময়কর।তারা দ্রুত তাকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ডেপুটি ইন্সেপেক্টর অব স্কুল মনিরুজ্জামান শাহিন জানান, দাস গুপ্ত আশীষ কুমার এখন অবৈধভাবে প্রধান শিক্ষক পদে রয়েছেন। ম্যানেজিং কমিটি তাকে অন্যায়ভাবে দায়িত্বে বসিয়েছে। এ ব্যাপারে শিক্ষাবোর্ড তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।


উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক রঞ্জন পুরোকাস্ত জানান, অবসরে যাওয়ার পরে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে প্রধান শিক্ষকের পদে বসাতে পারে।তবে শিক্ষাবোর্ডের অনুমোদন ছাড়া তিনি বিদ্যালয়ের কোন কাগজ পত্রে স্বাক্ষর করতে পারবেন না।


ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ দে বলেছেন, ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তনুযায়ী দাস গুপ্ত আশীষ কুমারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।তিনি বিদ্যালয়ের সরকারী কোন কাগজ পত্রে স্বাক্ষর করতে পারবেন কিনা তা তিনি জানেন না বলে মন্তব্য করেন। প্রধান শিক্ষক দাস গুপ্ত আশীষ কুমার জানিয়েছেন, তিনি বৈধভাবেই প্রধান শিক্ষকের পদে আসীন রয়েছেন।এক্ষেত্রে বোর্ডেরও কোন আপত্তি নেই।