বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের দোয়ারিকা সেতুর পূর্বপ্রান্ত ভয়াবহ ভাঙনের কবলে

দোয়ারিকা বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর পূর্ব উত্তর প্রান্তের গ্যাংওয়ে গতকাল ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে। এখন চরম হুমকির মুখে রয়েছে এ সেতুটি। যে কোন মুহুর্তে রাক্ষুসী সুগন্ধা নদী গিলে খেতে পারে গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনাকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনই তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহন না করলে সেতুটি হুমকির মুখে পড়ে যে কোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
দোয়ারিকা সেতু
সরেজমিনে গতকাল বিকেলে ঘুরে দেখা গেছে, সেতুর পূর্ব উত্তর প্রান্তে সেতুর মূল গাইড সংলগ্ন ৩০ গজ দূরত্বের স্থানে ভয়াবহ ভাঙনের ফলে এ্যাপ্রোচ সড়ক, গ্যাংওয়ে ও নির্মিত ব্লক বাঁধ ভেঙে নদীতে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। শীত মৌসুমে নদীর পানি ক্রমশঃ কমে যাওয়ায় প্রবল পানির স্রোতের ফলে এখানকার নদী ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে গেছে। ভাঙন কবলিত এলাকার নদী পাড়ের স্থানীয় এলাবাসী আঃ জলিল, মোঃ সালাম ও জাফর আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মূল সেতুর পূর্ব পাড়ের পূর্ব ও দক্ষিণ প্রান্তের নদীর তীরে নির্মিত গ্যাংওয়ে সম্পূর্ণ অকার্যকর। গ্যাংওয়ে নির্মাণের সময়ই সংকুচিত অবস্থায় নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মিত গ্যাংওয়ে নদীর স্রোতকে বাঁধাগ্রস্থ করতে পারছে না। এর ফলে একদিকে নদীর পানির স্রোতের তোড়ে গ্যাংওয়ে হুমকির মুখে, অপরদিকে গ্যাংওয়ে ভেঙে প্রায় ২০০ ফুট নদীগর্ভে বিলীন হওয়াতে ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এই সেতু।

সম্প্রতি বর্তমান মহাজোট সরকারের পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মাহাবুবুর রহমান তালুকদার বাবুগঞ্জে নদী ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষা করার প্রতিশ্র“তি দেওয়া সত্ত্বেও আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি কিংবা বাস্তবায়নের কোন পরিকল্পনা সরকারের না থাকায় নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে বরিশাল বিমান বন্দরের উত্তর অংশ, দোয়ারিকা সেতু, রশিদা মোশারফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আবুল কালাম ডিগ্রী কলেজ, জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর স্মৃতি যাদুঘর, ফরিদগঞ্জ বহুমূখী ফাজিল মাদ্রাসা ও মীরগঞ্জ ফেরীঘাটসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।