বরিশালে প্রশিক্ষণ বিমান বির্ধ্বস্তে দুই পাইলট নিহত ॥ মৃতদেহ ঢাকায় প্রেরন

বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বির্ধ্বস্ত হয়েছে। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় বিমানটির পাইলট এবং কো-পাইলট নিহত হন। নিহতরা হচ্ছেন-স্কোয়াড্রন লিডার আশরাফ আলী ও পাইলট মাহমুদ গাজী। এদের মৃতদেহ উদ্ধার করে ওইদিন সন্ধ্যায় বিশেষ হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে বিমান বাহিনীর ৮টি প্রশিক্ষন বিমান চার পেয়ারে (জোরা) বিভক্ত হয়ে পর্যায়ক্রমে উড্ডয়ন করে। এরমধ্যে ২টি প্রশিক্ষণ বিমান যশোর বিমান ঘাটি থেকে উড্ডয়ন করে বরিশালের রহমতপুর বিমান বন্দরে আসে। সেখানে উড্ডয়নরত অবস্থায় দুপুর ২টা ১০মিনিটের দিকে বিমান (পিটি-৬-৩৫১০) বিমান বন্দরের পশ্চিম উত্তর কোনে মানিককাঠি গ্রামে বিকট শব্দ করে বিমানটি গাছের সাথে ধাক্কা লেগে বির্ধ্বস্ত হয়।

বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল শাহ মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, তদন্ত টিম ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে ঘটনাস্থল এসেছে। এ মুহুর্তে তদন্ত টিমের রির্পোট ছাড়া দূর্ঘটনার কারন সম্পর্কে কিছুই বলা যাচ্ছে না। দূর্ঘটনা কবলিত স্থান কর্ডন করে রাখা হয়েছে, যাতে কোন আলামত নষ্ট না হয়।

বরিশাল বিমান বন্দরের ম্যানেজার হানিফ গাজী জানান, বিমানটি পুরোপুরি দুমরে মুছরে গেছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করেছেন। বরিশাল বিমান বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) আবুল খায়ের বলেন, বিকেল পৌনে ৫টায় বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের কাছে নিহত দু’পাইলটের মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। বিশেষ হেলিকপ্টারযোগে নিহতদের লাশ ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ঢাকা থেকে বিশেষ হেলিকপ্টারে পৌনে ৪টার দিকে বরিশাল পৌঁছেছেন বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল শাহ মোঃ জিয়াউর রহমানসহ বিমান বাহিনীর উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে ছুঁটে আসেন জাতীয় সংসদের সাবেক চীফ হুইপ আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ,  বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এডভোকেট শওকত হোসেন হিরন, বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস, ডিআইজি বিনয় কৃষ্ণ বালা, বরিশাল জেলা প্রশাসক এস.এম আরিফ-উর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ অনিল কুমার দত্ত।

বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন শাহ নেওয়াজ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারনেই বিমানটি বির্ধ্বস্ত হয়েছে। বিমান দূর্ঘটনায় নিহত আশরাফের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় আর মাহমুদ গাজীর বাড়ি গাজীপুর জেলায়। দুর্ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে হাজার-হাজার গ্রামবাসী ভীড় করেন।