ঘটনা ছিল বহুল আলোচিত। ইভটিজিং এর ঘটনা তদন্তে এসেছিলেন মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নেয়া হয়েছিল দেশের সর্ববৃহৎ মানববন্ধন। ইভটিজিং-এর শিকার হয়ে ৪জন নিহত, ৬জন লাঞ্চিত হওয়া ছাড়াও সংঘর্ষে আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক। থানায় ৫টি মামলা ও একাধিক সাধারন ডায়েরী করা হয়েছিল।
সূত্রমতে, গত বছর ১০মে ছবিখাঁরপাড় গ্রামের মেধাবী ছাত্রী রীমা আক্তার, ২৩মে নাঘিরপাড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী মিতালী মন্ডলসহ ৪ জন ইভটিজিং-এর শিকার হয়ে আত্মহত্যা করে। এছাড়া উপজেলার দত্তেরাবাদ গ্রামের আয়শা আক্তার, রাজিহার গ্রামের কলেজ ছাত্রী কচি রায় ইভটিজিং-এর শিকার হয়। গত ১১ নবেম্বর বাগধা কলেজে যাওয়া আসার পথে একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় আমবৌলা গ্রামের বখাটে দেলোয়ারকে এক সালিশ মিমাংসায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও গ্রাম থেকে বিতাড়িত করা হয়। পয়সারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রীকে উত্যক্ত করার জন্য গত ২২ নবেম্বর ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর বিশ্বাস বখাটে হাকিমকে অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। গত বছরের ২১ এপ্রিল শরিফাবাদ গ্রামে ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় মাসুদ ও সোহেল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৫জন আহত হয়েছিল। গত ৩০ নবেম্বর উপজেলা সদরের এসএম বালিকা বিদ্যালয়ের একই পরিবারের ২ছাত্রীকে উত্যক্ত করার ঘটনা নিয়ে দু’গ্র“পের মধ্যে সংঘর্ষে ৪জন আহত ও আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। মোল্লাপাড়া গ্রামের ২ ছাত্রী ছয়গ্রাম কলেজে যাওয়া আসার পথে বেলুহার গ্রামের বখাটে আশরাফ উত্যক্ত করায় তাকে স্থানীয় সালিশ মিমাংসায় জুতা পরিয়ে গ্রাম ঘোরানো হয়। আস্কর কালীবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী অপু বিশ্বাসকে উত্যক্ত করার ঘটনায় টিটু ও উজ্জ্বলের মধ্যে সংঘর্ষে ৫জন আহত হয়। আগৈলঝাড়ায় আশঙ্কাজনকহারে ইভটিজিং-এর ঘটনায় ওয়ার্ল্ডভিশনের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দেশের মধ্যে বৃহত্তম ৫০ কি.মি মানববন্ধন করা হয়। এসব ঘটনা তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সচিব হোসনেয়ারা বেগমের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি ৪ আগস্ট আগৈলঝাড়া এসে তদন্ত করে ৭টি ঘটনায় ১২জনকে অভিযুক্ত করেন।