সুশাসনের পালে বাতাস – ওয়াচডগ

সীমান্ত সন্ত্রাস
বছরের ১২ মাসে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ ও নাসাকাকর্তৃক নিহত হয়েছেন ১১৬ জন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিএসএফ বাংলাদেশীদের গুলি করে হত্যা করেছে। এছাড়া সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে আহত হয়েছেন ১৬৩ জনেরও বেশি। এছাড়াও বিএসএফ কর্তৃক অপহৃত হয়েছেন ১২১ জন।
জৈন্তাপুর সীমান্তে বিএসএফ-এর মদদে খাসিয়ারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জমি দখল করে চাষাবাদ শুরু করে এবং অস্ত্রের মহড়া দেয়।
৩ নভেম্বর বুড়িমারি সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত হয় শহিদুল ইসলাম।
৮ নভেম্বর যশোর সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত হয় মজনু বিশ্বাস।
৯ নভেম্বর সাতক্ষীরার গাজীপুর, পুটখালী ও পাটগ্রামের বুড়িমারী সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত হয় শরীফুল ইসলাম, মজনুর রহমান, মোক্তাল হোসেন।
১৫ নভেম্বর বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত হয় আব্দুল গাফফার ও মতিয়ার নামে দুই বাংলাদেশী। একই দিন দৌলতপুর সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত হয় মুক্তার।
১ ডিসেম্বর কানাইঘাটের সুরইঘাট সীমান্তের বাংলাদেশ সোনাতনপুঞ্জি এলাকায় ভারতীয় খাসিয়াদের হাতে নির্মম ভাবে নিহত বাংলাদেশী কাঠুরিয়া জসিম উদ্দ ীনের মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করা হয়।
৯ ডিসেম্বর শিবগঞ্জের মাসুদপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় কালুমিয়া (৩০)।
১১ ডিসেম্বর বেনাপোল সীমান্তে আমির হোসেন (৩৫) নামের এক বাংলাদেশীকে পিটিয়ে হত্যা করে বিএসএফ।
১৩ ডিসেম্বর কলারোয়ার কাকডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় কবিরুল ইসলাম।
১৮ ডিসেম্বর ডিমলা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় আব্দুর রশিদ (৩৫)।
১৯ ডিসেম্বর বেনাপোলের পুটখালী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় শফিয়ার রহমান।
২৪ ডিসেম্বর লালমনিরহাটের হাতিয়াবান্দার দইখাওয়া সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত হয় সাইফুর রহমান।
একই দিন, পবার খানপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়া তাজেরুল ইসলাম।
২৫ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফের হামলায় নিহত হয় অজ্ঞাত এক বাংলাদেশী।
২৭ ডিসেম্বর লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বামনদল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় বেলাল হোসেন (২৫)।
২৮ ডিসেম্বর বিরামপুর সীমান্তে বিএসএফ পিটিয়ে হত্যা করে এক বাংলাদেশী যুবককে।

রাজনৈতিক সংঘর্ষ
গত বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ২৩৪ জন। আর আহত হয়েছেন ১৫৮৮৬ জন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দল ও সহযোগী সংগঠনের গ্রুপিংয়ের কারণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া আওয়ামী লীগ-বিএনপি, আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টি কিংবা আওয়ামী লীগ-জামায়াত সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। শুধু ক্ষমতাসীন দল ও সহযোগী সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিহত হয়েছে ১১৭ জন।
উল্লেখ্য, ১১ মে সাভারে ডিশ ব্যবসায়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ কর্মী সাইফুল ইসলাম (৩২) নিহত হন।
১৬ মে শার্শা উপজেলা যুবলীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক রতন সরকারকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় ডিহি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আঃ খালেক এবং যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আঃ জলিলসহ ৫ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
২৫ মে পাবনার সাথিয়ায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে জমির ধান কাটা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়।
কুমিল্লার শহরতলির কালিরবাজার এলাকায় রাতে সোহেল (২২) নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ গ্রুপ।
২৭ মে খুলনায় মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেনকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতা জড়িত বলে নিহতের স্ত্রী দাবি করেছে। মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিজানের বিরুদ্ধে জিডির জের হিসেবে ৩০ মে মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জামালউদ্দিন ওরফে কুতু বাবুকে (৩৫) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। একই দিন মুন্সিগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে বালুমহালে টোল সংগ্রহ করতে গিয়ে একই দলের সন্ত্রাসীদের হামলায় মুন্সিগঞ্জ শহর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ মামুন (২৬) নিহত হয়। ৩১ মে মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষে নুরুন্নবী হাওলাদার (২৫) নিহত হয় এবং টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে প্রতিপক্ষের হামলায় উজেলার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক (৪৫) নিহত হয়।
খালেদা জিয়ার রাজশাহীর মহাসমাবেশে যাওয়ার পথে ৫ মে নাটোরের সিংড়ায় বিএনপি সমর্থকদের গাড়ি বহরে আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলায় নিহত হয় ১ জন এবং ১৯ মে বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে আসার পথে বিএনপি সমর্থকদের গাড়ি বহরে আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলায় যুবদল নেতা আকবর হোসেন নিহত হয়। কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ ২০ মে দুপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাট এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে।
৪ মে বরিশাল পলিটেকনিকে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করার ছবি, ১০ মে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের আন্তকোন্দলের জের ধরে শিক্ষিকাসহ ৮ ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করা ও ১১ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের দ্বারা আরবি বিভাগের ২ জন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে কাস থেকে বের করে দেওয়ার নজিরবিহীন ঘটনা জাতিকে হতবাক করে।
২৬ মে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় যুবলীগের এক কর্মীর হাত কেটে নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ।
৩০ মে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বখতিয়ার রানাকে লাঞ্ছিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি কামরুল হাসান রিপন।
৫ জুলাই ২০১০ জাহাঙ্গীরনগর বিশ¡বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে প্রক্টরসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়। এ সময় প্রতিপ গ্রুপের কর্মীদেরকে নির্মমভাবে পিটিয়ে চারতলা থেকে নিচে ফেলে দেয়া হয়।
৬ জুলাই এ ঘটনার সংবাদ ও ছবি ছাপা হয় প্রত্যেকটি দৈনিকে। প্রতিপ গ্রুপের ওপর এ ধরনের হামলা ও নির্যাতন বর্বর যুগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
১৩ আগস্ট সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী শাওনের পিস্তলের গুলিতে নিহত হয় যুবলীগ নেতা ইব্রাহিম। এ ঘটনায় খোদ সংসদ সদস্য শাওনের বিরুদ্ধেই হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সেক্রেটারি অপু গ্রুপের কর্মী ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র নাসরুল্লাহ নাসিমকে নির্যাতনের পর ছাদ থেকে ফেলে দেয় সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা। ৯ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ২৩ আগস্ট মারা যায় নাসিম। উল্লেখ্য, জুলাই মাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ গ্রুপের কর্মীদের ছাদ থেকে ফেলে দেয়ার ঘটনা ঘটে।
২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত র‌্যালিতে ছাত্রলীগের দু’টি গ্রুপের ছাত্রীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
৮ অক্টোবর নাটোর জেলার বনপাড়ায় বিএনপির পূর্বনির্ধারিত জনসভায় বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর বিএনপির সভাপতি সানাউল্লা নূর বাবুকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে নির্মমহত্যা করে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।
১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সংসদ সদস্য আফাজ উদ্দিনের বাসার দলীয় ক্যাডারদের আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় নিহত হন ৩জন এবং আহত হয় এমপিসহ ৫জন।
২৩ নভেম্বর পাওনা টাকা চাওয়ায় বাগেরহাট জেলার ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক এমাদুল হককে কুপিয়ে হত্যা করে যুবলীগ ক্যাডাররা।
এছাড়া ৬ নভেম্বর রাজধানীতে নিজ দলের সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দীন ইসলাম দীলাকে।
১ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জে সাবেক ইউপি মেম্বার ও আওয়ামীলীগ নেতা গুরুপদ বিশ্বাসকে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা হত্যা করে।
৩০ নভেম্বর বিএনপি’র হরতালের সময় লালমনিরহাটের গোকুঞ্জা ইউনিয়ন বিএনপি অফিস পেট্রল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার সময় অগ্নিদগ্ধ আওয়ামীলীগকর্মী মোস্তফা সরকার (৩৫) ৩ ডিসেম্বর মারা যায়।
৬ ডিসেম্বর বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের উপজেলা সভাপতি ইদ্রিস আলী ইজারাদার মোংলার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর সরদারকে প্রকাশ্যে জুতা পেটা করে।
৭ ডিসেম্বর নরসিংদীতে যুবদল কর্মী বুরুজ মিয়াকে গলা ও পায়ের রগকেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে সুমন, মনিরসহ পাঁচ-ছয় জন যুবলীগকর্মী।
৯ ডিসেম্বর যশোরে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে বিমান অফিসের মোড়ে নিজ দলীয় সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবলীগ কর্মী আবু জাফর (২৭) নিহত হয়।
১৩ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের ভালুকায় আন্তকোন্দলের জের ধরে নিহত হয় ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক (২৫)।
১৪ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়া উপজেলার দুর্গম গ্রাম নাছিরাকান্দিতে কলম ইউনিয়নের বিএনপি নেতা আসলাম মোল্লাকে (৪০) ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা গলা কেটে হত্যা করে।
২০ ডিসেম্বর ধামরাইয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিজ দলের হাতে নিহত হয় গাংগুটিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম সিরো ।
৩০ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ শহরের পবহাটিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত হয় আলম (৪১), বজলুর রহমান (২৮) ও সোহান।
৩১ ডিসেম্বর খাঁগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় যুবলীগ কর্মীর হামলায় উপজেলা শ্রমিক দল সভাপতি সিরাজুল ইসলাম নিহত হয়।

সাংবাদিক নির্যাতন ও মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ
২০১০ সালের একটি বড় সময় কেটেছে সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণ ও সাংবাদিক নির্যাতনের অসংখ্য ঘটনা নিয়ে। যমুনা টেভিশিন, চ্যানেল ওয়ান বন্ধ, ফেসবুক বন্ধ ঘোষণা, আমারদেশ পত্রিকার প্রকাশনা বাতিল এবং এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করে রিমাণ্ডে নির্যতানের ঘটনা দেশবাসী উৎকণ্ঠার মধ্যে পর্যবেক্ষণ করে। এতে প্রায় সহস্রাধিক মিডিয়া কর্মী বেকারত্বের ফলে চরম মানবেতর পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ক্ষমতাসীনদের হাতে নির্যাতনের শিকার হন ২০৬ জন সাংবাদিক। নিহত হন ৪ জন । (সাপ্তাহিক ২০০০-এর সিলেট প্রতিনিধি ফতেহ ওসমানি ২৯ এপ্রিল মারা যান এবং এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান শরিফুল ইসলাম মিঠুকে দুবৃত্তরা শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। তাছাড়া ১২ আগস্ট মাইটিভির খুলনা ব্যুরো প্রধান এম এ হাসানের লাশ গলিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ) এছাড়াও বিভিন্ন চ্যানেলের টকশো’র ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে কয়েকটি জনপ্রিয় টকশো’র সম্প্রচার।
উল্লেখ্য, ৩ নভেম্বর ঢাবির এফ রহমান হলে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে নিউ নেশন প্রতিবেদক কদরুদ্দিন শিশিরকে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা।
৫ নভেম্বর বাংলাদেশ রেলওয়ে অফিস কাবে মন্ত্রীর সামনেই শ্রমিক লীগ ক্যাডারদের হামলায় আহত হন ১০ সাংবাদিক।
৬ নভেম্বর বিয়ানীবাজারে ইত্তেফাক প্রতিনিধি আব্দুল খালেককে মারধর করে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা।
৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে টিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ৬ সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করে ঢাবি ছাত্রলীগ ক্যাডাররা।
১৪ নভেম্বর চাপাইনবাবগঞ্জে হরতাল চালাকালে ক্ষমাতাসীনদের হামলা আহত ৩ সাংবাদিক।
২৮ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে আহত হয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ২২ সাংবাদিক।
৩০ নভেম্বর হরতাল চলাকালে ঢাকায় শীর্ষ নিউজের স্টাফ রিপোটার হাসনাইন ইমতিয়াজ ও সমকালের স্টাফ রির্পোটার রাজিব আহম্মেদকে নির্মমভাবে প্রহার করে পুলিশ।
২২ ডিসেম্বর প্রতিপক্ষের হামলায় মুলাদী প্রেসকাবের সভাপতি মনির হোসেন নিহত হয়। একই দিন জাবির এমএইচ হলের ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হাতে লাঞ্চিত হয় জাবির সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারিসহ চারজন।
১৬ ডিসেম্বর জবিতে ছাত্রলীগ ক্যাডারদের হাতে আহত হয় এক ফটো সাংবাদিক।
২১ ডিসেম্বর জবির ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় লাঞ্চিত হয় ১০ সাংবাদিক।

ইভটিজিং ও নারী নির্যাতন
সারাদেশে ইভটিজিং মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ডিসেম্বর মাসেই ইভটিজিংয়ের শিকার হওয়ার ২৩৭টি ঘটনা পত্রিকায় এসেছে। এর মধ্যে ৫ তরুণী ইভটিজিং এর অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে। ইভটিজিংয়ের ঘটনায় ডিসেম্বর মাসে ৪৫ জন বখাটের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা এবং ২৬ জনকে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে ইভটিজিংয়ের শিকার হওয়ার ২২৫টি ঘটনা পত্রিকায় আসে। এর মধ্যে ৩ জন তরুণী ইভটিজিং এর অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেন। ইভটিজিংয়ের ঘটনার প্রতিবাদ করায় প্রাণ দিতে হয় ৫ জনকে। তাছাড়া গত তিন মাসে যৌতুক ও অন্যান্য কারণে স্বামীগৃহে নির্যাতনের পর জীবন দিতে হয় ৮০ জন নারীকে। যার মধ্যে অক্টোবর মাসে ১৮, নভেম্বর মাসে ৩৫ ও ডিসেম্বর মাসে ২৭ জন নারীকে জীবন দিতে হয় ।
ইভটিজিংয়ের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থনপুষ্ট বখাটেদের উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়।
৪ এপ্রিল কাওসারের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, ৬ এপ্রিল ছাত্রলীগ নেতা বাবু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ১৪ এপ্রিল টিএসসির বৈশাখী কনসার্টে ছাত্রলীগের মধ্যম সারির নেতাদের হাতে তরুণীদের শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা দেশবাসীকে হতবাক করে। এছাড়া ১৯ এপ্রিল বগুড়ায় ছাত্রলীগ নেতা ডিউ কর্তৃক এক তরুণী এবং ২৮ এপ্রিল পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ নেতা বরকত খান কর্তৃক স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শারিরীকভাবে নাজেহাল হন।
মে মাসে ইভটিজিংয়ের শিকার হওয়ার অসংখ্য ঘটনা পত্রিকায় এসেছে। এর মধ্যে কয়েকজন তরুণী ইভটিজিং এর অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থনপুষ্ট বখাটেদের উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়। যার মধ্যে, ৩ মে বাগেরহাটের শরণখোলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে যুবলীগ কর্মীরা মারাত্মকভাবে প্রহার করে। এছাড়া ৯ মে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা আঃ কুদ্দুস স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে চুলের মুঠি ধরে লাঠিপেটা করে অজ্ঞান করে ফেলে।
১ নভেম্বর বগুড়ার শেরপুরে ইভটিজিংয়ের অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে স্কুলছাত্রী রূপালী রানী (১৫) ।
৪ নভেম্বর চট্টগ্রামে আটক ইভটিজারকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় ছাত্রলীগ ক্যাডারা।
৬ নভেম্বর কুমিল্লায় পূজা অনুষ্ঠানে ইভটিজার ছোট ভাইয়ের পক্ষ নিলে গণপিটুনিতে নিহত হয় ছাত্রলীগ নেতা জাকির। এর জের ধরে পূজামণ্ডপ ভাঙচুর ও সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘরে হামলা করে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা।
৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে বখাটেরা উত্যক্ত করলে তার প্রতিবাদ করায় ৬ সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা।
৮ নভেম্বর কুমিল্লার মুরাদনগরে ইভটিজার ছেলের বখাটেপনা থামাতে না পেরে নিরূপায় হয়ে আত্মহত্যা করে এক অসহায় মা।
১৯ নভেম্বর দিনাজপুরে ব্র্যাক স্কুলের ৫ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী শাবনুরের ইভটিজিংয়ের বিচার চাওয়ায় বখাটেরা তার পরিবারের সদস্যদেরকে মারধর করে। ঘটনার অপমান সইতে না পেরে ক্ষোভে আত্মহত্যা করে শাবনুর।
১৩ ডিসেম্বর মাদারীপুরের কালকিনিতে চৈতী আক্তার ইভটিজিংয়ের অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে।
একই দিন ভোলার তজুমুদ্দিন উপজেলায় কেয়ামুনা গ্রামে জাকিয়া (১৭) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রী ইভটিজিংয়ের অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে।
১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর দণিখানে রেশমা আক্তার বীনা নামে এক কিশোরী ইভটিজিংয়ের অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে।
১৭ ডিসেম্বর নড়াইলের লোহাগড়ায় বখাটেদের গণধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেয় ১৪ বছরের শিশু জবা।
২২ ডিসেম্বর নারায়নগঞ্জে বখাটেদের অপমান সইতে না পেরে আত্মহননের পথ বেছে নেয় দীপুমনি।
২ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়া সরকার পাড়ায় ইভটিজাররা ১৪ বছরের স্কুল ছাত্রী ও তার মা-বাবাকে মারধর করে।
একই দিন বখাটের বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
৩ ডিসেম্বর বগুড়ায় ইভটিজিং বিরোধী প্রাণ গ্রুপের কনসার্টে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় তরুণীরা আক্রান্ত হয়।
৪ ডিসেম্বর বখাটেদের বিরুদ্ধে থাকায় অভিযোগ করার কারণে বরগুনার কলেজ ছাত্রী সুমা আকতারকে পায়ের রগ কেটে দিয়েছে ইভটিজাররা।
৫ ডিসেম্বর নঁওগার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী আশা আলমগীর মিলি স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইভটিজাররা ব্লেড দিয়ে তার শরীর চিড়ে দেয়।
৬ ডিসেম্বর শেরপুরের নলীতা বাড়িতে বখাটেদের ছুরির আঘাতে মাদরাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী মৌসুমি আকতার (১৪)- এর পেটের নাড়ি-ভূড়ি বের হয়ে আসে।
১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের চকোরিয়া গ্রামে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান তুহিন রহমানসহ পাঁচ ছাত্রলীগ ক্যাডারকে মেয়েদের ইভটিজিংয়ের দায়ে গণপিটুনি দেয় গ্রামবাসী।
১৪ ডিসেম্বর খুলনা সিটি কলেজের ছাত্রলীগ কর্মী আজম খান মোবাইলে ছবি তোলার মাধ্যমে ইভটিজিং করে।
১৫ ডিসেম্বর আওয়ামীলীগ নেতা মতিয়ার রহমান ওরফে মতি গোলদারের ছেলে জয় খুলনার দিঘলিয়া সরোয়ার খান ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী তানিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আওয়ামীলীগ নেতার ক্যাডাররা তিন ছাত্রকে কুপিয়ে জখম করে।
একই দিনে, ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় আড়াইহাজারে বখাটেরা ষষ্ঠশ্রেণীর ছাত্রীর বাসায় হামলা-মারধর ও ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির পর মাথা ন্যাঁড়া করে দেয়।
১৬ ডিসেম্বর সিদ্ধিরগঞ্জে মহাজোট নেতা মোহাম্মদ আলীর বখাটে ছেলে দিপু পালসার এক মেয়েকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ৫ জনকে পেটানো হয়।
২১ ডিসেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচ ছাত্রীকে উত্যক্ত করে ছাত্রলীগ নেতা মিরাজ ও নবীন।
৩১ ডিসেম্বর ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় আড়াইহাজারে বখাটেরা স্পিনিং মিল শ্রমিক এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করে।

আত্মহত্যা
সাম্প্রতিক সময়ে আত্মহত্যার সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু মে মাসে ৩৬ জন, জুনে ৪৯, জুলাই ৪২, আগস্টে ৪৪, সেপ্টেম্বর মাসে ৬৭, অক্টোবর মাসে ৪৬, নভেম্বর মাসে ৩৬ ও ডিসেম্বর মাসে ৩৯ জন আত্মহত্যা করেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থনপুষ্ট বখাটেদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তরুণীরা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে। এছাড়া ইভ টিজিং, পারিবারিক কলহ, ঋণের টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়া অন্যতম কারণ বলে জানা গেছে।
এর মধ্যে গত এপ্রিল মাসে ঢাকার বাড্ডা ও বাগেরহাটে এনজিওর কিস্তির টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে ২ জন আত্মহত্যা করেন।
১১ জুন ঢাকার কদমতলীর জুরাইনে শফিকুল কবিরের পুত্রবধূ ফারজানা করিব রিতা (৩৫) ও দুই নাতি-নাতনি, ইসরাফ কবির বিন রাশেদ ওরফে পবন (১১) ও রাইসা শারমিন পায়েল (১০) বাবার অত্যাচার ও দ্বিতীয় বিয়ে, মাসহ তাদের বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করে দেশব্যাপী চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
১ জুলাই ২০১০ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার লিপি আক্তার মামার বাড়িতে যাওয়ার পথে সাইদুর রহমান সাঈদ নামে এক যুবক তাকে ধর্ষণ করে। এতে অভিমানে লিপি আক্তার কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করে।
১০ জুলাই পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় মায়ের কাছে ১শ’ টাকা চেয়ে না পেয়ে অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে রতন হোসেন (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্র। রতন দেবোত্তর কবি বন্দে আলী মিয়া উচ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র।
এছাড়া প্রেম করে বিয়ে করায় পরিবার মেনে না নেয়ায় কিশোরগঞ্জের ওয়াজিউদ্দিন ও দিলারা বেগম চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করে।
২ আগস্ট মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের ইসাপুরা গ্রামের সাধন ভাওয়ালের স্ত্রী মনিরা ভাওয়াল ও প্রতিবন্ধী মেয়ে মাধুরী ভাওয়াল সংসারের আর্থিক অনটনে অতিষ্ঠ হয়ে গলায় রশি পেচিয়ে আত্মহত্যা করে।
৫ আগস্ট দক্ষিণ কমলাপুরে স্ত্রী বিলাসী স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে তার দুই সন্তান রায়হান (৩) ও রজনী আক্তারসহ (৭) আত্মহত্যার চেষ্টা চালালে শরীরের প্রায় ৮০ ভাগ পুড়ে যায়। তিন দিনের মধ্যে তারা সবাই মারা যায়।
১১ আগস্ট ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করে মুন্সিগঞ্জের স্কুলছাত্রী সিনথিয়া।
১৯ আগস্ট এনজিওর ঋণের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে রাজধানীর আদাবরে শাহিদা গলায় কাপড় পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। একই কারণে ২৮ আগস্ট আত্মহত্যা করে নোয়াখালীর আসলাম।
২৭ আগস্ট নারায়নগঞ্জে স্ত্রীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যা করে রাজু সরদার।
১ সেপ্টেম্বর রাজবাড়ির ুদ্র ব্যবসায়ী বাদশা খন্দকার ঋণের টাকা শোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এনজিও কর্মীদের চাপাচাপিতে বিষপানে আত্মহত্যা করে।
২৮ অক্টোবর পটুখালীতে দীর্ঘ প্রায় ২৪ বছর চাকরি করার পরেও চাকরি স্থায়ী না হওয়ার কষ্টে পরিছন্ন কর্মী কমল দাস আত্মহত্যা করেন।
১ নভেম্বর বরিশালের মুলাদিতে ঋণের টাকা শোধ করতে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করে জনৈক যুবক।
১৪ নভেম্বর টাঙ্গাইলের বাসাইলে ছোট বোনের হলুদের অনুষ্ঠানের দিন রাতে আত্মহত্যা করে হাসিনা।
২২ নভেম্বর বরগুনায় প্রেমিক বিয়ে করতে অস্বীকার করায় আত্মহত্যা করে জাকিয়া।
১ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহজাহানপুরে প্রেমঘটিত কারণে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সাদিয়া বিনতে নুর (১৭)।
৫ ডিসেম্বর গাজীপুরে স্ত্রীর পরকীয়ার জের ধরে স্বামী ফজলুল হক (৪৫) ও স্ত্রী সাহিদা বেগম (৩৫) আত্মহত্যা করে।
৬ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ায় দশম শ্রেনীর ছাত্র শাকিল প্রেমিকার আত্মহত্যার কথা শুনে নিজে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
৭ ডিসেম্বর নারায়নগঞ্জে আব্দুল আউয়াল নামে এক দিনমজুর ুদ্রঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যা করে।
১০ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেলের ছাত্র নেহাল বার বার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার হতাশায় আত্মহত্যা করে।
১১ ডিসেম্বর বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ছাত্র মদুসূধন শিক্ষকদের ব্যবহারে কষ্ট পেয়ে আত্মহত্যা করে।
১৫ ডিসেম্বর রাজধানীর দণিখানে স্বামীর ওপর অভিমান করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় রাজিয়া সুলতানা।
২০ ডিসেম্বর ফতুল্লায় গৃহবধূ দীপা পরকীয়া প্রেমের কারণে আত্মহত্যা করে।
২১ ডিসেম্বর ফতুল্লায় মো: আলী ও হাতেম আলী অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যা করে।

চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি
২০১০ সালে সারাদেশে চুরি, ডাকাতি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে মোট ২২৬২টি। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছে ২৮০ জন। আর আহত হয়েছে ২৮০৫ জন।

সড়ক দুর্ঘটনা
গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৪৪৮১জন। যা গড়ে প্রতিদিন ১২ জনেরও বেশি। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৫৫৬৯ জন অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৪২ জনেরও বেশি

 

সূত্রঃ http://www.mrtbd.org তারিখ- ৪ জানুয়ারি ২০১১

Writer : WatchDog – AmiBangladeshi.Org