জিতবো না, দলের কথা বইলা লাভ নাই, আপনি কি তে দাড়াইছেন হেইডা কইয়া যান’ গত রবিবার সকালে পৌর এলাকার চরপাঙ্গাশিয়া গ্রামের ভোটার শাহজাহান হওলাদার বললেন দলের পরিচয় দিয়ে ভোট চাইতে গেলে এক মেয়র প্রার্থীকে। এ সময় ঐ প্রার্থীকে একই এলাকার ভোটার চম্পাবিবি বলেন, ‘মোরা পড়ালেহা না জানতে পারি হের জন্য কি ভোট পানিতে হালাইয়া দিমু। আপনি ভালো হইলে ভোট পাইবেন দলের দোহাই দিয়া লাভ নাই’। ভোটারদের এমন কথা শুনে ঐ প্রার্থীসহ সাথে থাকা সমর্থকেরা হতবিহ্বল। ভোটের ব্যাপারে এই খেটে খাওয়া মানুষও কতই না সচেতন।
জানা গেছে, কালকিনি উপজেলা আ’লীগের অন্যতম শক্ত ঘাটি হিসেবে সারা পরিচিত। বিগত জাতীয় সংসদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন নির্বাচনে আ’লীগ প্রার্থীরাই নির্বাচিত হয়ে আসছে। অন্যদিকে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের সাংগঠনিকতা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক ভালো। বিএনপিমনা ভোটারও বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। জামায়াতের সমর্থণ থাকায় বিশাল ভোট ব্যাংক তৈরিতে সক্ষম হয়েছে বিএনপি। পৌর এলাকার প্রত্যেকটি গ্রামে আ’লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের মনোনীত প্রার্থী ও সমর্থকেরা যে যার মতো করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিরামহীনভাবে। আগামী ১৭জানুয়ারী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
পৌর এলাকার মিনাজদী, কাশিমপুর, বিভাগদী ও গোপালপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সাধারণ মানুষের আশানুযায়ী উন্নয়ন না হওয়ায় স্থানীয় নির্বাচনে দল নয় প্রাথীদের জনপ্রিয়তা, যোগ্যতা ও দক্ষতাকেই গুরুত্ব দিচ্ছে ভোটাররা। আর এ জন্যই ভোটাররা নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে এনায়েত হোসেন হাওলাদারকেই পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রেখেছেন। তিনি দেয়াল ঘড়ি প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তিনি পৌর এলাকার প্রত্যেকটি গ্রামে ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী রাজিব হোসেন বলেন, ‘জীবনের প্রথম ভোট সব সময় পাশে পাব এমন একজন প্রার্থীকে দিতে পারবো বলে আমি খুশি। দলের প্রার্থী বলতে এই স্থানীয় নির্বাচনে কোনো শব্দ নেই। কেউ হয়তো নিজের অযোগ্যতা ঢাকতে জনপ্রিয়তা দেখাতে দলের পরিচয় দিতে পারে তাতে আমাদের মতো ভোটারদের কিছু যায়-আসে না’।