কারচুপির অভিযোগে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন

কেন্দ্রের এজেন্টদেরকে  মারধর করে বের করে দেয়া, বিএনপির কেন্দীয় নেতা ও আনারস প্রতীকের  সমর্থিত ভোটারদের উপর হামলা ও প্রকাশ্যে মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে কারচুপির অভিযোগ এনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোঃ নুরুল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ১১ এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, পৌরসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই ১৩টি কেন্দ্র দখল করে তার এজেন্টদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। পরে মহাজোট সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে তারা ভোট কারচুপি করে (ব্যলটে সিল পিটিয়ে নেয়)। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, জাতীয় সংসদের সাবেক চিপহুইপ আবুল হাসানাত আব্দুলাহ প্রতিটি কেন্দ্রে গিয়ে প্রশাসন ও নির্বাচনের সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্টষ্ট কর্মকর্তাদের উপর প্রভাব বিস্তার করে ভোট কারচুপিতে সহায়তা করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোট মনোনিত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার  আব্দুস সোবাহান অভিযোগ করেন, ১নং টরকী ভিক্টরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯ টায় তার এজেন্টদের বের করে দিয়ে মহাজোট মেয়র প্রার্থী হারিচুর রহমানের পক্ষে ব্যালটে সিল মারা হচ্ছে খবর পেয়ে সত্যতা যাচাই করতে ওই কেন্দ্রে গেলে যুবলীগ ক্যাডার মোঃ রেজাউল করিম সিকদার তার সমর্থকদের নিয়ে প্রকাশ্যে হামলা চালিয়ে কিল, ঘুষি মেরে তাকে আহত করেছে।  যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম সিকদার হামলার অভিযোগ অস্বিকার করেন।

 

ক্যাপশন: শীতের তীব্রতাও রুখতে পারেনি গৌরনদী জনসাধারনকে। তীব্র শীত উপেক্ষাকরে সকাল থেকে ভোটদেয়ার জন্য লাইনে দাড়িয়ে আছেন- এইচ.এম সুমন, ষ্টাফ রিপোর্টার

 

বিএনপির মেয়র প্রার্থী নুরুল ইসলামের স্ত্রী শাহিদা ইসলাম অভিযোগ করেন, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড বড় কসবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কারচুপিতে বাধা দিলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে লাঞ্চিত করে। সংবাদ সম্মেলনে নুরুল ইসলাম আরও বলেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে তার এজেন্ট মোঃ নুরু মোল্লা, মোঃ ইকবাল হোসেন, মোঃ শাকিল, এসকেন্দার সরদার, ইদ্রিস খান, মোঃ বাদল সরদার ও দেলোয়ার হোসেনের উপর  ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ক্যাডারদের হামলা চালিয়ে আহত করে। তিনি কারচুপির নির্বাচন বাতিল করে পূনঃ নির্বাচন দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানান। বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মোঃ নুরুল ইসলামের অভিযোগ প্রত্যাক্ষান করে মহাজোট মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও গৌরনদী উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ হারিচুর রহমান বলেন, প্রতিপক্ষ প্রার্থী নিশ্চিত পরাজয়ের কথা ভেবে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দেন। তিনি আরও বলেন, অবাদ, সুষ্ট ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোঃ নুরুল ইসলামের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে রির্টানিং অফিসার ও গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মেয়র প্রার্থী নুরুল ইসলামের অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া জায়নি। পৌরসভার ১৩ টি কেন্দ্রে অবাদ সুষ্ট ও শান্তি পূন্য নির্বাচন অনুষ্টিত হচ্ছে। কোথাও কোন অপ্রতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।

 


বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সোবহানের গাড়িতে হামলা ও ঘিরে রেখেছে যুবলীগের কর্মীরা- ষ্টাফ রিপোর্টার

বিএনপি সমর্থিত এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়- ষ্টাফ রিপোর্টার

বিএনপি সমর্থিত এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়- ষ্টাফ রিপোর্টার

 

সর্বশেষ খবর : দুপুর ২টা