আগৈলঝাড়ায় বিএনপি’র জন্য ২০১০ ছিল অশুভ

অন্যগ্রুপের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার মাধ্যমে দলীয় কর্মসূচী পালন করেছে। একারণে কোন কর্মসূচীই উপজেলা সদরে পালন করতে পারেনি তারা। দলীয় একাধিকসূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে উপজেলার নেতাকর্মীরা দু’গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পরে। ইঞ্জিনিয়ার সোবহান সমর্থিত কমিটিতে ২০০১ সালে নারী ও সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী, মাদকব্যবসায়ীসহ ছাত্রদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। ওই সময় কমিটির বিরুদ্ধে আকন কুদ্দুস সমর্থিত কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ সংবাদ সম্মেলন করেছিল। পরবর্তীতে কাউন্সিলের মাধ্যমে আঃ লতিফ মোল্লা সভাপতি, আফজাল হোসেন শিকদারকে সাধারণ সম্পাদক ও মাহবুবুল ইসলামকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি গঠনের সময়ও কারচুপি হয়েছে বলে কুদ্দুসের সমর্থকরা অভিযোগ করেছিল। কমিটি গঠনের পরে কেন্দ্রীয় নেতা আকন কুদ্দুসুর রহমানকে বাদ দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহানকে সংবর্ধনা দেয়াকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠানে কুদ্দুসের সমর্থকরা সংবর্ধনার ব্যানার ছিড়ে হট্টগোল করে সভা পন্ড করেছিল। এঘটনা পত্রিকায় প্রকাশের পরে সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব উপজেলা সদরে বসে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। একারণে আগৈলঝাড়ার সাংবাদিকরা বিএনপির সংবাদ বর্জন করে। পরে দলীয় উচ্চপর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের সাথে আপোস করেন। ২১ ফেব্রুয়ারীর রাতের অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থরা বিএনপি’র কর্মীদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলেও আইনশৃংখলা সভায় বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন সিকদার তা অস্বীকার করে সাংবাদিকদের হেয়প্রতিপন্ন করেন। কুদ্দুস সমর্থিত যুবদলের নেতাকর্মীরা আরিফ হোসেন ফিরোজকে আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে। ওই কমিটিতে বরিশাল উত্তর যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর থাকলেও সভাপতি তার স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে সোবহান সমর্থিত আলী হোসেন ভূঁইয়া স্বপনকে আহ্বায়ক করে পাল্টা আরেকটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। উভয় কমিটি এক গ্রুপ অপর গ্রুপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের কুৎসা রটনা করে। উভয় কমিটি শুধুমাত্র ওয়ার্ড কমিটি গঠন করেছে। যুবদলের একটি গ্রুপ সভা সমাবেশ না করে প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের দলীয় কর্মসূচী পালন করছেন। আগৈলঝাড়ায় রাজনৈতিক সম্প্রীতি থাকলেও উপজেলা বিএনপি তাদের গ্রুপিং-এর কারণে দলীয় কর্মসূচী উপজেলা সদরে পালন করছেনা। সবমিলিয়ে ২০১০ সালে বিএনপি ভাঙাগড়া, পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠন ও গ্রুপিং-এর মধ্য দিয়ে তাদের রাজনৈতিক অশুভ সময় পার করেছে। দলের নেতাকর্মীরা ছিল দু’গ্রুপে বিভক্ত।