কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষ অনিশ্চিত

ওয়াপদা পোল্ডারের মধ্যে) বৃহত বিলাঞ্চলে পানি নিস্কাশন না হওয়ায় চলতি বছরে হাজার হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষ অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। পানি নিস্কাশনের এক মাত্র খাল সংস্কার না হওয়ায় জমি সমতল হয়েছে। অপরদিকে কতিপয় প্রভাবশালী সুবিধাভোগী লোক খালে বাধ দিয়ে পানি নিস্কাশনে প্রতি বন্ধকতা সৃষ্টি করায় এই দুরগতির অন্যতম কারণ।

সরেজমিন দেখাগেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার বারপাইকা, আস্কর, বাগধা, চাঁদত্রিশিরা, উজিরপুর উপজেলার জল্লা, সাতলা, পটিবাড়ি, কালবিলা, জামবাড়ি বৃগত এলাকার বিলাঞ্চলের কয়েক হাজার হেক্টর জমি এখনও পানির তালিয়ে থাকায় চলতি বছরে বোরো চাষে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। বৃহত এই বিলের পানি নিস্কাশরে জন্য বারপাইকা দুসামী থেকে হারতা নদীর তীরে নির্মিত স্লুইজ গেট পর্যন্ত একমাত্র খালই ভরসা। দীর্ঘদিন খালের খনন কাজ না হওয়ায় পলি-কাঁদা জমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানির স্রোতোধারা কমে গেছে।

অপর দিকে প্রতি বছর এক শ্রেণীর প্রভাবশালী সুবিধাভোগী লোক মাছ ধরার জন্য খালের বিভিন্ন স্থানে বাধ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় বিলের পানি জমে থাকে। এ বছরেও জল্লা ইউনিয়নের কুরলিয়া বাজারের দক্ষিন পার্শ্বে, মসাং ও কালবিলার কয়েক স্থানে খালে বাধ দেওয়ার কারনে পানি নামতে পারছেনা। এখও এই বিলে কোমর সমান পানি থাকায় ইরি-বোরো চাষ হুমকির মুখে রয়েছে। বারপাইকা গ্রামের সুনিল কৃর্ত্তনীয়া, নিরঞ্জন হালদার, রাধাকান্ত বিশ্বাস, রবিন্দ্র নাথ হালদার, কুরুলিয়া গ্রামের অমুল্য হালদার, গকুল মন্ডল জানান, সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই সমস্যার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে এবার বিলের বোরো চাষ অসম্ভব হয়ে দাড়াবে। এব্যাপারে বাগধা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি জানান, এক মাসের মধ্যে খালের ৫ কিলোমিটারের খনন কাজ শুরু হবে। হারতা ইউপি চেয়ার‌ম্যান  সুনীল বিশ্বাস জানান, এধরনের জটিল সমস্যা তাকে এখনও কেউ জানায়নি। তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, এই খালের খনন কাজ, কুচুরিপানা পরিস্কার ও পানি নিস্কাশন সহ বিভিন্ন ফর্দ দাখিল করে প্রতিবছর নির্বাচিত প্রতিনিধি ছাড়াও এক শ্রেণীর সুবিধাভোগীরা সরকারী বরাদ্দ এনে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করলেও বৃহত্তর বিলাঞ্চলের দিনমজুর দরিদ্র কৃষকদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন ঘটেনি।