কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম

ব্যাপক অনিয়ম ও এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। সম্প্রতি শুরু হওয়া উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পের চলমান কাজে ব্যাপক অনিয়ম দেখা দিয়েছে। প্রতিটি ইউনিযনে ৩টি করে প্রকল্পে মোট ১১’শ ৪৫জন শ্রমিকের অনুকুলে প্রায় ৭০লাখ টাকা সরকারীভাবে বরাদ্ধ দেয়া হয়। নির্ধারিত ৪০ দিনের কর্মসূচী গত ১৫জানুয়ারী শেষ হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান। এ বিষয়ে খোজ নিয়ে যানা গেছে, উদয়কাঠী ইউনিয়নের ৩টি প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়ার পর ওই কাজ ১৩ দিন পরে বন্ধ হয়ে যায়। একই ভাবে সৈয়দকাঠী ইউনিয়নে কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পে অনিয়ম ধরা পরায় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে স্থানীয় শ্রমিকদের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করা হয়। গত সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদের কাছে উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ শামিম মুন্সী একই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে কর্মসূচী প্রকল্পের কাজে শ্রমিকদের কাছ থেকে দৈনিক ৩০টাকা হারে উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ করেন। এতে উক্ত প্রকল্পের শ্রমিক জব্বার ঘরামী, পলাশ আকন, কুসুমী, বিশাখা, মালতী ও সবিতা পাড় সহ ১২জন শ্রমিকের কাছ থেকে দৈনিক ৩০টাকা নেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে ফারুক মেম্বর বলেন, তিনি নিজে উৎকোচ নেননি তবে ব্যাংকে বিভিন্ন খরচ থাকার কথা উল্লেখ করেন। এনিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। অপরদিকে স্থানীয় যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিঠু উক্ত বিষয়টির সত্যতা প্রকাশ করেন। একই ভাবে উপজেলার বাকী ৬টি ইউনিয়নে সম্প্রতি শেষ হওয়া কর্মসৃজন কর্মসূচী প্রকল্পে ব্যাপক অনিযম হয়েছে বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়। এ বিষয়ে ইউএনও কালাম আজাদ বলেন সরকার নিয়ম করেছে শ্রমিকদের মজুরী ব্যাংকের মাধ্যমে উত্তোলন করবেন।এ ক্ষেত্রে যদি কেউ কোন ভুল বুঝিয়ে কারও কাছ থেকে টাকা পয়সা নেয় সেটি তো আমাদেরকেউ জানায় নি।