মোবাইলের পর্নো ছবি দেখিয়ে দু’শিশুকে ধর্ষণ

গ্রামে এক নরপশু কর্তৃক অসহায় এতিম দু’শিশুকে মোবাইলের পর্নো ছবি দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রাম্য সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার জন্য একটি মহল উঠে পরে লেগেছে। এ ঘটনার আটদিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষিতা শিশুর পরিবারটি এখনো কোনো বিচার পায়নি।

জানা গেছে, আশোয়ার গ্রামের মৃতু মোতালেব মোল্লার স্ত্রী প্রতিবেশী শাখাওয়াত মোল্লার বাড়িতে দীর্ঘদিন থেকে গৃহপরিচারিকার কাজ করে আসছিলো। তার তৃতীয় শ্রেণীর পড়–য়া ১০ বছরের কন্যাকে শাখাওয়াত মোল্লার বখাটে পুত্র শাহাদাত মোল্লা গত ২১ জানুয়ারি চকলেট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় শিশুটির ডাকচিৎকারে এলাকাবাসি এগিয়ে আসলে ধর্ষক শাহাদাত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ধর্ষিতার পরিবার বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করতে চাইলে তাদের বাঁধা প্রদান করে ২২ জানুয়ারি রাতে জোড়পূর্বক সালিস-বৈঠকের বসানো হয়। বৈঠকে প্রভাবশালী শাখাওয়াত ও তার লোকজনের সিদ্ধান্ত মতে ধর্ষিতা শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি না করে এক পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে বিষয়টি দেখা হবে বলেও শিশুটির মাকে শ্বাসিয়ে দেয়া হয়।

অপরদিকে গত ১৪ জানুয়ারি আশোয়ার গ্রামের মৃত রফিক মুন্সির কন্যা দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে (৭) মোবাইলের পর্নো ছবি দেখিয়ে একই গ্রামের মৃত মোতালেব মোল্লার নিরজর্ন ঘরে বসে একইভাবে বখাটে শাহাদাত মোল্লা ধর্ষণ করে। ধর্ষিতার পরিবার অভিযোগ করেন, ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায় থানায় ও হাসপাতালে যেতে তাদের বাঁধা দেয়া হয়। এ ব্যাপারে ধর্ষক শাহাদাতের মায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, দুই শিশুর পরিবারকে ২ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টির মীমাংসা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গ্রাম্য মোড়ল আইউব আলী মোল্লা ও অহেদ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, বিষয়টি তারা মীমাংসা করে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে উজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সুকুমার রায়ের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।