বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বরিশালের গৌরনদী ও উজিরপুরের সহস্রাধীক মুসুল্লী ও গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শেষে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বায়েজিত খান পন্নীর কুশপুতুল দাহ করা হয়েছে।
জানা গেছে, হিজবুত তাওহীদ প্রতিরোধ ও ইসলাম রক্ষা কমিটির ব্যানারে গৌরনদী ও উজিরপুরের সহস্রাধীক মুসল্লী ও গ্রামবাসীরা উজিরপুর মহিলা কলেজ মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় মধ্য দিয়ে মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উজিরপুর লঞ্চঘাট এলাকায় এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। হিজবুত তাওহীদ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি নুরুল হক আজাহারির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, সমাজসেবক গিয়াস উদ্দিন, সাহাবুদ্দিন আকন সাবু, এডভোকেট আমির হোসেন মিয়া, জাহাঙ্গীর হোসেন বাচ্চু, রিয়াজ মিয়া, ইমাম মনিরুল ইসলাম, আল-আমিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৫দিন পূর্বে উগ্রপন্থি জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাওহীদের ক্যাডাররা প্রকাশ্যে মুসল্লীদের ওপর হামলা চালিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে কমপক্ষে ২০ জনকে আহত করে। এ ঘটনার পর গত এক সপ্তাহ পূর্বে গৌরনদী ও উজিরপুর এলাকার মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক ও মুসুল্লীদের সমন্ময়ে উগ্রপন্থি জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাওহীদ প্রতিরোধ কমিটি নামের একটি কমিটি গঠন করা হয়। অপরদিকে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় উজিরপুর থানা পুলিশ হিজবুত তাওহীদের উজিরপুর উপজেলার কমান্ডার শিকারপুর শেরে বাংলা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক মোজাম্মেল হক মল্লিককে গ্রেফতারের পর কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে (মোজাম্মেলকে) কলেজ থেকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছেন।
বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলায় উগ্রপন্থি জঙ্গী সংগঠন হিজবুত তাওহীদ পরিচালিত হচ্ছে গৌরনদী উপজেলার শাহজিরা গ্রাম থেকে। ওই গ্রামের মৃত জয়নাল মীরের বড় পুত্র মান্নান মীর ছয় জেলার আমীরের দায়িত্ব নিয়ে হিজবুত তাওহীদ পরিচালনা করছেন। তার অধীনে রয়েছে প্রশিক্ষিত প্রায় পনের হাজার নারী ও পুরুষ সদস্য।