বিএম কলেজের অধ্যক্ষকে লাঞ্চিত করেছে মেয়রের ক্যাডাররা

BM Collegeলাঞ্চিত করেছে বিসিসি মেয়র শওকত হোসেন হিরন পন্থী ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। গতকাল বৃহস্পতিবার ক্যাডাররা অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে কক্ষের চেয়ার টেবিলসহ অন্যান্য মালামাল লন্ডভন্ড করে ফেলে। এমনকি ক্যাডাররা অধ্যক্ষকে মারতে উদ্যিত হয়ে গায়ে ধাক্কাও দিয়েছে। একই সঙ্গে তিন ঘন্টা অধ্যক্ষকে  অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

জানা গেছে, বিএম কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবীতে মেয়র হিরন পন্থী হিসাবে পরিচিত কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক মঈন তুষার, নাহিদ সেরনিয়াবাদ, হাতেম আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগ বাবলু জোমাদ্দার, ক্যাডার শাওন, নয়ন, জসিমসহ অর্ধশত ক্যাডার বেলা ১১টায় ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্টে মিলিত হয়। এরপর তারা প্রশাসনিক ভবনের অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে। ক্যাডাররা অধ্যক্ষকে হুঙ্কার দিয়ে বলে বাকসু নির্বাচন নিয়ে আপনি কেন এত নাটক করে চলছেন। এতে অধ্যক্ষের সঙ্গে তুষার, নাহিদের কথার কাটাকাটি ঘটে। একপর্যায়ে নাহিদ, তুষার ক্ষিপ্ত হয়ে অধ্যক্ষকে ধাক্কা মারে ও গালাগালি করে। এছাড়া কক্ষে থাকা চেয়ার টেবিল ভাংচুর চালায়। কলেজের  শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে দুুপুর পৌনে ২টায় অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ মুক্ত করা হয়। অধ্যক্ষ ড.ননী গোপাল দাস বলেন, কক্ষে অপ্রতিকর ঘটনায় শিক্ষকদের নিয়ে এক বৈঠকে বসা হয়েছে।

ছাত্রলীগ ক্যাডার মঈন তুষার বলেন, বাকসু নির্বাচনের দাবীতে ছাত্ররা দীর্ঘদিন ধরে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে। কিন্তু অধ্যক্ষ ছাত্রদের আন্দোলনের বিষয়টি নজরে নিচ্ছেন না। এজন্য ক্ষুদ্ধ ছাত্ররা অধ্যক্ষকে কয়েক ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। বাকসুর সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক ফয়সাল বিন ইসলাম বলেন, বাকসু নিবাচন ছাত্রদের দাবি। এটা দ্রুত হওয়াও উচিৎ। কিন্তু কলেজে বিশৃংঙ্খলা বা নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করে আন্দোলন করা কোন সংগঠনের সাংগঠনিক কর্মকান্ড হতে পারে না। বিশেষ করে শিক্ষকদের লাঞ্চিত করার বিষয়টি বিস্ময়কর। তিনি আরো বলেন এরা ছাত্রলীগের রাজনীতিকে বিতর্কিত করে কলেজের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে চলছে। কলেজে এ ধরনের অপ্রতিকর ঘটনার জন্ম দেয়া ক্যাডারদের শাস্তি হওয়া উচিৎ বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক রফিক সেরনিয়াবাদ বলেন, বাকসু নির্বাচনের দাবি সকল ছাত্রদের। কর্তৃপক্ষও বলেছেন কলেজে সকল ছাত্রসংগঠনের অংশগ্রহনে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ন পরিবেশ সৃষ্টি হলেই ছাত্র সংসদ নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করা হবে। রফিক সেরনিয়াবাদ আরো বলেন শিক্ষকদের ওপর হামলা করে আন্দোলনের কোন মানে হয়নি। তিনি এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। একই কথা বললেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক মাকসুদুল আলম মাকসুদ।