গৌরনদীর ফেন্সি সম্রাট সেন্টুর ফেন্সিডিল ভান্ডার অক্ষত

গেছে বরিশালের গৌরনদীর ফেন্সিডিল সম্রাট সেন্টু মৃধার ফেন্সিডিল ভান্ডার। বন্ধ হয়নি তার মাদক নেটওয়ার্কের অবৈধ ফেন্সিডিল ব্যবসা।

ফেন্সি সম্রাটজানা গেছে, ফেন্সি সম্রাট সেন্টু মৃধার ওই অবৈধ ফেন্সিডিল ব্যাবসার বিশাল নেটওয়ার্ক রয়েছে বরিশালের গৌরনদীসহ পার্শ্ববর্তী আগৈলঝাড়া, উজিরপুর, বাবুগঞ্জ, মাদারীপুরের কলিকিনি ও গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায়। এ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রতিদিন ভারত থেকে অবৈধ পথে আসা লক্ষ লক্ষ টাকার ফেন্সিডিল পাইকারী ও খুচরা বেচাকেনা হয়। খুচরা বিক্রির উদ্দেশ্য নেটওয়ার্কের প্রধান সেন্টু মৃধা (৩৪) তার ২ সহযোগী জাফর প্যাদা (২৯) ও আজিজ দেওয়ান (৩২) কে নিয়ে গত ৮ ফেব্র“য়ারী রাত পৌনে ১০ টার দিকে পার্শ্ববর্তী মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার দক্ষিন মাইজ পাড়া এলাকায় যায়। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে মাদারীপুর ডিবি পুলিশের এস আই খান মোঃ জুবায়েরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ পুর্বে থেকে ওই এলাকায় ওৎ পেতে থেকে ১৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ তাদের গ্রেফতার করে কালকিনি থানায় সোপর্দ করে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালকিনি থানার এস আই মোঃ ফায়েকুজ্জামান পরদিন  তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে ৩ দিনের রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পরও মাদক আমদানির রুট ও নেটওয়ার্কের কোন তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি। নেটওয়ার্কের প্রধান সেন্টু মৃধার বাড়ি গৌরনদী উপজেলার নন্দন পট্রি গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন মৃধার পুত্র।

একটি গোপন সুত্র জানায়, সেন্টু ছিল ওই এলাকার ভবঘুরে বেকার যুবক। গত ৭/৮ বছর পূর্বে সিমান্ত থেকে আসা একটি অবৈধ মাদক ব্যাবসায়ী চক্রের সাথে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। সেই থেকে তার এ ব্যাবসা শুরু। ভবঘুরে সেন্টুর ওই ব্যাবসা শুরুতে তখন অর্থের যোগান দেয় তার বড় ভাই মাছের খামার ব্যাবসায়ী নান্নু মৃধা। সেন্টু ফেন্সিডিলের যত বড় চালানই আনতো  তার অর্থের কোন অভাব হতনা। বড়ভাইয়ের অর্থে সে তার আমদানী কারকদের বিদায় করতো।  এভাবে বড় ভাই ন্ন্নাুর দেয়া চালানের উপর ভর করে সেন্টু বরিশালের গৌরনদীসহ পার্শ্ববর্তী আগৈলঝাড়া, উজিরপুর, বাবুগঞ্জ, মাদারীপুরের কলিকিনি ও গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় অবৈধ ফেন্সিডিল ব্যাবসার সর্ব বৃহৎ নেটওয়ার্ক।