আওয়ামীলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ২০ জন আহত

গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামীলীগের দু’গ্রপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের বরিশাল শেবাচিম ও গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় এক যুবলীগ ক্যাডারকে আটক করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সময়ে আধুনা গ্রামের রিপন হাওলাদারের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন সরিকল গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা টিপু প্যাদা, এমদাদ হোসেন মৃধাসহ তাদের সহযোগীরা। এতে বাঁধা প্রদান করেন আধুনা গ্রামের বাসিন্দা ও ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হানিফ আকন। ওই ঘটনার জেরধরে টিপু ও তার সহযোগীরা এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য বৃহস্পতিবার রাত সাতটার দিকে হানিফ আকনের ওপর পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আধুনা বাজারে বসে অর্তকিত ভাবে হামলা চালায়। একপর্যায়ে আধুনা গ্রামের লোকজন স্থানীয় জামে মসজিদের মাইকে প্রচার করে সরিকলের সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধের আহবান করেন। এসময় গ্রামবাসীর সাথে টিপু ও তার সহযোগীদের হামলা-পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয় গ্র“পের হানিফ আকন, পনির আকন, জলিল মোল্লা, রুবেল বিশ্বাস, সুলতান মোল্লা, শ্যাম মোল্লা, হাসান হাওলাদার, রিপন শরীফ, নাসির মোল্লা, রিপন মোল্লা, টিপু প্যাদা, শাহাদাত হাওলাদার, জাহিদ হোসেনসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। গ্রামবাসী ধাওয়া করে মহিষা গ্রামের মিল্টন নামের এক যুবলীগ ক্যাডারকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়। খবর পেয়ে সরিকল তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। গুরুতর আহত পনির আকনকে বরিশাল শেবাচিম ও অন্যান্যদের গৌরনদীসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি শুনে তাৎক্ষনিক সরিকল তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।