হত্যার ২৬ দিন পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

কবর থেকে নিহত নুরুল আমিন খান(৪৫) এর লাশ  উত্তোলন করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম মোরশেদা আক্তার, বাবুগঞ্জ থানার এসআই মফিজুল ইসলাম। তাদের উপস্থিতে লাশের সুরতহাল করা হয়। লাশের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা যায় মুন্ডপাশা গ্রামের মৃত আছমত আলী খানের পুত্র নুরুল আমিন খান ৭ মার্চ রাতে বাবুগঞ্জ উপজেলার রাহুতকাঠি গ্রামের সুভাষ কাজীর বাড়ীর সামনের মাঠে গানের অনুষ্ঠানে ভাড়া করা শিকারপুর কলি মাইক সার্ভিসের লাইটিং ও জেনারেটারের অপারেটরের কাজে যায়। সে লাইটিংর কাজ করার সময় ঐ পথ দিয়ে হেটে যাওয়ার ঐ বাড়ির ফাতেমা বেগমের শরীরে তার হাত লাগলে তখন তাকে ফাতেমা বেগম জুতা পিটা করে। এ সময় কাছে থাকা ফাতেমার স্বামী জাহাঙ্গীর ভূইয়া, স্থানীয়  বাসু, জাহাঙ্গীর প্যাদা, সহ ৪/৫ জন মিলে এলোপাথারী ভাবে নুরুল আমিন কে ক্রিক্রেট খেলার ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে আসামীরা নুরুল আমীনের অবস্থা বেগতিক দেখে প্রথমে রাহুতকাঠি বাজারে পল্লী চিকিৎসক ডা: শহিদুল ইসলামের কাছে নিয়ে যায়। পরবর্তিতে কলি মাইক সার্ভিসের মলিক কামাল আকন মোবাইল ফোনে তার কর্মচারীর নুরুল আমিনের অবস্থা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সে তাৎক্ষনিক উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে অবস্থা আরো অবনতি হলে কর্তাব্যরত ডাক্তার বরিশাল সোবচিম হাসপাতালে প্রেরন করেন। বরিশালের হাসপাতালে চিকিৎসাদিন অবস্থায় ১০ মার্চ নুরুল আমিন মারা যায়। পরে মারপিটের কথা তার আত্মীয় স্বজনকে না জানিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে তরিঘড়ি করে লাশ দাফন করা হয়।

পরবর্তিতে ঘটনাটি জানা জানি হলে নিহতের ভাগ্নে খলিলুর রহমান বাদী হয়ে ১৮ মার্চ বাবুগঞ্জ থানায় ৫ জনকে আসামী করে হত্যার মামলা দায়ের করেন। পরে বাদী বরিশাল চিপ জুডিশিয়াল আদালতে লাশের ময়না তদন্তের আবেদন করলে আদালত জেলা প্রাশাসকের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহীর কর্মকর্তা উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলনসহ ময়না তদন্তের আদেশ দেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।