এ কেমন শত্রুতা

অসময়ে ধান ক্ষেতে ইউরিয়া সার ছিটিয়ে ফসল বিনষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার রাতে গৌরনদী উপজেলার ইছাগুড়ি বাকাই গ্রামে। এতে দুই কৃষকের প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে গৌরনদী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার মাগুরা মাদারীপুর গ্রামের মোঃ করম আলী মাতুব্বর(৬৫) ও মোঃ আবুল কালাম (৫২)র সাথে একই গ্রামের মোঃ ইছাহাক খলিফা (৫৫) মোঃ সাদেক খলিফা(৫০) দীর্ঘদিন যাবত জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। মোঃ করম আলী মাতুব্বর(৬৫) ও মোঃ আবুল কালাম (৫২) অভিযোগ করেন, সম্প্রতি সময়ে আদালতে বিচারধীন একটি মামলার রায়ে প্রতিপক্ষরা হেরে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে  তারা গত সোমবার রাতে ইছাগুড়ি বাকাইস্থ এলাকার দুইশত শতাংশ জমির বোরো ধানের ক্ষেতে(ফুল আসা পর্যায়ে) প্রতিপক্ষ মোঃ ইছাহাক খলিফা (৫৫) মোঃ সাদেক খলিফা(৫০) তাদের লোকজন নিয়ে ইউরিয়া সার ছিটিয়ে সফল বিনষ্ট করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ধান ক্ষেতে গিয়ে এ অবস্থা দেখতে পেয়ে তারা (জমির চাষী) গৌরনদী উপজেলা কৃষি অফিস, উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানায় বিষয়টি লিখিতভাবে জানান, গৌরনদী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার রতন কুমার মন্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় কৃষক আবুল কালাম ও করম আলী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তারা  জানান, ধার দেনা করে  প্রায় ৭০ হাজার টাকা ব্যায় করে  জমি চাষ  করেছেন। ফসল খুবই ভাল হয়েছিল। আশা ছিল ফসল বিক্রি করে দেণা পরিশোধ করে অবশিষ্ট ধান দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করবো কিন্তু সব শেষ হয়ে গেছে। এ কেমন শত্র“তা ?। অভিযোগের ব্যাপারে মোঃ ইছাহাক খলিফা (৫৫) মোঃ সাদেক খলিফা(৫০) র কাছে জানতে চাইলে তারা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রাতে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তার কোন প্রমান নেই। তবে প্রতিপক্ষ হিসেবে আমাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আদৌ এর সাথে আমাদের সম্পৃক্ততা নেই।

গৌরনদী উপজেলা কৃষি অফিসার রতন কুমার মন্ডল এ প্রসংগে বলেন, সার দেয়ার যথেস্ট নিদর্শন পাওয়া গেছে। অসময়ে (ফুল আসা পর্যায়ে ) জমিতে অতিরিক্ত সার দেয়া হয়েছে। এতে জমির ফসল বিনষ্টের বিষয়টি স্পষ্ট। অতিরিক্ত ইউরিয়ার প্রভাবে ধান সম্পূর্নভাবে চিটায় পরিনত হবে। জমিতে পানি প্রবাহ দিতে পারলে কিছুটা ফসল পাওয়া যেত কিন্তু ওই স্থানে পানি দেয়ার কোন ব্যাবস্থা না থাকায়  জমির ফসল পাওয়ার কোন সম্ভবনা নেই। গৌরনদী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন , এ ধরনের শত্র“তা করা ঠিক নয়।