বরিশাল বেতারের আঞ্চলিক পরিচালকের কান্ড

ও দূর্নীতির গুরুতর অভিযোগ পাওয়াগেছে । এখানকার কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য বেতার কেন্দ্রের শুরুথেকেই সরকার একটি মাইক্রোবাস সরবরাহ করে । সেটি অক্ষত ও সচল থাকতেও তা গ্রেজে রেখে বাৎসরিক মেয়াদে বাড়া চুক্তিতে মাইক্রোবাস নেন তিনি । তাও সরকারের রাজস্ব ফাকি দিয়ে কোন প্রকার টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ছাড়াই বে-আইনী ভাবে বেতারে টেকনিশিয়ানকে ৬ লাখ টাকার বাৎসরিক মেয়াদে ঐ কাজটি দিয়ে আঞ্চলিক পরিচারক হাতিয়েনেন মোটা অংকের নগদ অর্থ ।

বরিশাল বেতার কর্মচারী ও স্থানীয়দের অভিযোগে জানাগেছে , বরিশাল বেতারের কর্মকর্তা – কর্মচারীদের সরকারী পরিবহন থাকতেও এখানকার আরডি সাবেক শিবির কর্মী জামায়াত নেতা মোঃ আব্দুল হক বাইরে থেকে বাৎসরিক ভাড়ায় গাড়ী নিতে নাম মাত্র বেতারের নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে টেন্ডার আহ্বান করেন । যা বরিশাল নগরীর কোন পরিবহন ব্যাবসায়ীতো দূরের কথা কেউই আবগত নন । পরে বেতারের রেকর্ডিং সেকশনের টেকনিশিয়ান মনিরুল ইসলামকে পাইয়েদেয় ২ লাখ টাকার বিনিময়ে । সরকারী নীতিমালা বহির্ভূত ভাবে কাগজ পত্র ( সিডিইউল ) তৈরী করে তা গত ০২ জুন বিক্রির শেষদিন দেখায় । মনির নিজের নামে তিনটি সিডিইউল ক্রয় করে । আর ৩ জুন ঐ তিনটি দরপত্র জমা দেয় একই ব্যাংকের তিনটি পেঅর্ডারসহ । কোন প্রকার নিয়ম না মেনেই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় । এবিষয়ে আলাপকালে বরিশাল বেতারের উপ আঞ্চলিক পরিচালক কিশোর রঞ্জন মলিক ঘটনার সত্ত্বতাস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আঞ্চলিক পরিচালক একাই করেছেন এতে আমাদের কাউকে জড়িত করেননি । বরিশাল বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক জামায়াত নেতা মোঃ আব্দুল হক নিজেকে অপারেশনের রোগীদাবীকরে বলেন যা হয়েছে কাগজ  পত্রে আছে আমি আপনাকে এবিষয়ে না লেখার জন্য অনুরোধ করছি । এটা একটা সামান্য ব্যাপার এনিয়ে বাড়াবাড়ী নাকরাই ভাল । অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে এ কাজটি করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টাকা পয়সার বিষয়না ঠিকাদার বেতারের  একজন কর্মচারী বলেই কাজটা ওনিয়েছে