তারেক-হারিছ-মুজাহিদসহ আসামি ৩০

হওয়ার প্রায় ২ বছর পর আজ রবিবার দেয়া হচ্ছে মামলার সম্পূরক চার্জশিট। গত ২২ জুন সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের জন্য শেষবারের মতো সময় মঞ্জুর করেছিলেন বিচারক। এ ব্যাপারে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও ঢাকা বারের সিনিয়র এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হ্যাঁ, হতে পারে।’ সম্পূরক চার্জশিটে বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদ, খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর ও ৮ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৩০ জনকে আসামি করা হচ্ছে। অন্যদের মধ্যে পুলিশের সাবেক আইজি আশরাফুল হুদা, ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মিজানুর রহমান, ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম আরিফ, বিএনপি  চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই-এর সাবেক মহাপরিচালক আবদুর রহিম, রেজ্জাকুল হায়দার  চৌধুরী, জেএমবি নেতা আব্দুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মাদ ওরফে জিএম, শেখ আব্দুস সালাম, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মাওলানা সাব্বির আহমেদ ওরফে আব্দুল হান্নান, মাওলানা আব্দুর রউফ ও পাকিস্তানি নাগরিক আব্দুল মজিদ বাট। এছাড়া বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য শাহ মোফাজ্জল কায়কোবাদকেও আসামি করা হতে পারে বলে জানা গেছে। মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলতে থাকার এক পর্যায়ে ৬১ জনের সাক্ষ্য নেয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে পুনরায় মামলাটির অধিকতর তদন্ত চেয়ে আদালতে আবেদন করা হলে ২০০৯ সালের ৩ আগষ্ট মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন আদালত। দুই মাসের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে প্রতিবেদন জমা দিতে পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দেন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের তত্কালীন বিচারক মো. মাসদার হোসেন। ২০০৯ সালের ১৩ আগষ্ট অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর দুই বছরে কমপক্ষে ১২ বার সম্পূরক চার্জশিট দিতে সময় নেয়া হয়। গ্রেনেড হামলার ৪৬ মাস পর ২০০৮ সালের ১১ জুন প্রথম চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি। এ চার্জশিটে ২২ জনকে আসামি করা হয়। আরও ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হলেও আহসানউল্লাহ কাজল ও মো. মাসুদ তদন্তকালে মারা যান এবং সঠিক নাম ঠিকানা না পাওয়ায় ওমর ফারুক, শুভ, ফেরদৌস ও বাবুর পক্ষে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। তত্কালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি  শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আহত হন শতাধিক নেতা-কর্মী। এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল ও সাবের  হোসেন চৌধুরী মতিঝিল থানায় পৃথক ৩টি এজাহার দায়ের করেন।