নলছিটি পৌরসভার এক কাউন্সিলরের ধুম্রজাল সৃষ্টির চেষ্টা!

কাউন্সিলরের ধ্রুম্রজাল সৃষ্টির চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। জানাযায়, শনিবার দুপুরে একটি রিক্সাভ্যানে কিছু কাঠের টুকরা নিয়ে পৌরভবনের গেট থেকে বের হতে দেখেন ৯নং ইউনিট কাউন্সিলর খান জামাল হোসেন। বিষয়টি তিনি মেয়রকে অবহিত না করে তাৎক্ষনিক ফোনে ৩নং ইউনিট কাউন্সিলর মনিরুজ্জানকে বলেন পৌরসভার মালামাল চুরি হয়ে যাচ্ছে। ওই সময় মনিরুজ্জামান নলছিটি থানায় অবস্থান করছিলেন বলে ঘটনাটি থানার ওসি মাসুদুজ্জামানকে বললে তিনি এএসআই হেমায়েত উদ্দিনকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে বলেন। পুলিশ নলছিটি গার্লস স্কুল রোডে এসে ভ্যান গাড়িতে কয়েকটি কাঠের টুকরা ও খালি কাগজের কার্টুন আটক করে। ঘটনা জানাজানি হলে সেখানে ছুটে আসেন পৌরসভার ৬নং ইউনিট কাউন্সিলর নূরুল ইসলাম স্বপন, ৫নং ইউনিট কাউন্সিলর সরোয়ার হোসেন তালুকদার, ৩নং ইউনিট কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান। তারা বিষয়টি মেয়র মজিবুর রহমানকে জানালে তিনি ওই পরিত্যক্ত মালামাল সরিয়ে ফেলার জন্য পৌর কর্মচারি সন্ধ্যা রানিকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান। এর পরেও কাউন্সিলররা রিক্সাভ্যান সহ কাঠের টুকরাগুলো পৌরভবনে নিয়ে যায়। এ সময় এএসআই হেমায়েত উদ্দিন ওই কাঠের টুকরা গুলোর সিজার লিষ্ট করে নেন। জ্বালানী হিসেবে যার বর্তমান বাজার মূল্য ২’শ টাকা। ঘটনার আকস্মিকতায় মেয়র মজিবুর রহমান ছুটে আসেন পৌরভবনে। তিনি বলেন,পৌর ভবনের নিচতলার একটি কক্ষ গ্রামীন ব্যাংক নলছিটি শাখার কাছে ভাড়া দেয়া হয়েছে। ১লা জুলাই তারা কক্ষটি বুঝে নিলে কক্ষে রক্ষিত অব্যবহৃত মালামাল সরিয়ে নেয়  পৌর কর্তৃপক্ষ। নিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত কাউন্সিলর খান জামাল হোসেন নিজে সেগুলো নিতে চাইলে তাকে না দেয়ায়ই কাউন্সিলর জামাল ক্ষিপ্ত হয়ে এ ধরনের একটি ধুম্রজাল সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালায় বলে জানান, পৌর কর্মচারী সন্ধ্যারানী।