বাকেরগঞ্জের নিয়ামতিতে ২ কোটি টাকার সরকারি জমি দখল

নেতৃত্বে ২ কোটি টাকার সরকারি জমি দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে  অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গতকাল বেলা ১১টায় ইউপি চেয়ারম্যান কামাল তালুকদার পাশ্ববর্তী বিবিচিনি ইউনিয়নের শতাধিক ভাড়াটে মস্তান সহ অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে নিয়ামতি বন্দর সংলগ্ন ২কোটি টাকার সরকারি চরের সিকিস্তি জমি বাঁশের খুঁটা গেরে দখল করে। প্রায় ২শতাধিক প্লটের জমি কামাল দখল করেছে বলে স্থানীয় একটি সুত্র জানায়। ডিসিআর না কেটে সরকারি অনুমতি ছাড়া প্রায় ২কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জমি চেয়ারম্যান কামাল কর্তৃক দখল করায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে আলাপকালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, কামাল তালুকদার টাকা দিয়ে ভোট কিনে চেয়ারম্যান হয়ে এখন সে ধরাকে সরা জ্ঞান মনে করছে না। একজন ইউপি চেয়ারম্যান কোন খুঁটির জোরে সরকারি অনুমতি ব্যতীত জমি দখল করল এনিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। একটি বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, ইউপি তহশিলদার আমির হোসেনের যোগসাজশে চেয়ারম্যান কামাল এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। ইউপি তহশিলদার আমির হোসেনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার ভূমি আবু নাছের ভূঁঞার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, চেয়ারম্যান আইনের উর্ধ্বে নন। অন্যায়ভাবে যেই জমির দখল দিক না কেন বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিয়ামতি পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জহির বাঁশের খুঁটা গেড়ে চেয়ারম্যান কামালের নেতৃত্বে জমি দখল দেয়ার কথা স্বীকার করেন। ইউপি চেয়ারম্যান কামাল তালুদারের সাথে আলাপকালে তিনি জমি দখলের কথা স্বীকার করে বলেন এ জমি গরীবদের মাঝে বিতরণ করা হবে। তবে আপনারা এ বিষয়ে কিছু লিখবেন না বলে নির্দেশ দেন। অপর একটি সুত্র জানায়, ঘটনার পরপর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সুলতান আহম্মেদসহ সরকার দলীয় নেতাদের সাথে প্লট ভাগাভাগি নিয়ে একাধিকবার বৈঠক হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলছিল। ইউপি আ’লীগ সাধারন সম্পাদক বিমল মাস্টার এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমি তথা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ চেয়ারম্যান কামালের এ নোংরা দখল বাণিজ্যের সাথে নেই। ব্যক্তি স্বার্থে কোন নেতা বা কর্মী আইন বর্হিভূত কোন কাজের সাথে নিয়ামতিতে চলছে দখল বাণিজ্য। ইতিমধ্যেই চেয়ারম্যান কর্তৃক দখলকৃত জমি বিক্রির জন্য কামাল সিন্ডিকেট তালিকা তৈরী করে ফরম পূরনের মাধ্যমে অগ্রিম টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘষের আশংকা রয়েছে।