শনিবার রাতে যাত্রীবাহি মাইক্রোবাস ও পিকআপের মুখোমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ইউনিয়র পরিষদের সচিব নিহত ও আইনজীবিসহ ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এ সময় রাস্তার দু’পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে প্রায় ঘন্টাকালব্যাপী যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার এএসআই মিজানুর রহমান জানান, মাওয়া থেকে বরিশালগামী যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো চ-১১-১০৮০) শনিবার রাত আটটার দিকে গৌরনদীর ইল্লা মাদ্রাসার নিকট পৌঁছলে বিপরিত দিক থেকে আসা মালবাহী পিকআপের (ঢাকা মেট্রো ড-১৪-৩০১৭) সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মাইক্রোবাস ও পিকআপের সম্মুখ ভাগ দুমড়ে মুচরে যায়। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ঝালকাঠী সদর থানার ভাষান্ডা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দেলোয়ার হাওলাদার (৩৮) মারা যায়। এছাড়া গুরুতর আহত মাইক্রোবাসের ড্রাইভার বরিশাল শহরের শোলনা গ্রামের নাসির খলিফা (৪০), ঝালকাঠী জজ কোর্টের আইনজীবি এডভোকেট নাসির উদ্দিন কবির (৪৫), যাত্রী ধামুরা গ্রামের করিম দাড়িয়া (৫০), তার পুত্র মনির দাড়িয়া (২৫), মাধবপাশার ইউনুস হাওলাদার (৩৫), চরফ্যাশনের ইসমাইল মিজি (২৬) ও অজ্ঞাত পরিচয়ে এক যুবককে (২৮) গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে অবস্থা আশংকাজনক অবস্থায় করিম দাড়িয়া, অজ্ঞাত যুবককে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। দুর্ঘটনার ফলে মহাসড়কের দু’পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে প্রায় ঘন্টাকালব্যাপী মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত নয়টার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাস ও পিকআপ সড়িয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক করে।
অপরদিকে মহাসড়কের সাউদের খালপাড় নামকস্থানে ওইদিন রাত পৌনে এগারোটার দিকে ঢাকাগামী অজ্ঞাতনামা পরিবহনের ধাক্কায় মিনি বেগম (২৮) নামের এক পথচারী আহত হয়েছে। আংশকাজনক অবস্থায় তাকে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।