হানিফ বলেছেন- বিএনপির জন্ম হয়েছিল সামরিক ছাউনিতে আর স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় খালেদা জিয়া পাকিস্থানীদের আতিথেয়তায় ব্যস্ত ছিলেন যে কারনে তার এত পাক প্রীতি। তিনি বলেন- ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মুল হোতা খুনি ও দুর্নীতিবাজ পুত্রদের বাচাতে খালেদা জিয়া দেশে হরতাল ডেকে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। তাদের এসব অপচেষ্টা রাজপথে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার জন্য নেতাকর্মিদের নির্দেশ দেন তিনি।
হানিফ বলেন সংবিধানের প্রতি তার আস্থা নেই তাই তিনি ছুড়ে ফেলে দেয়ার মত কথা বলতে পারেন। একারনে খালেদা জিয়াকে জনগনের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে । তিনি বলেন, ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর শহীদদের রক্তেলেখা সংবিধান যা আমাদের বড় অর্জন তা ছুড়ে দেয়ার মত বক্তব্য দিয়ে তিনি জাতীর সাথে প্রতারনা করেছে । জনগন আগামী নির্বাচনে এর জবাব দেবে তাকে ছুড়ে ফেলার মধ্য দিয়ে । ৩০ জুলাই বিকেলে বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের আহবায়ক শওকত হোসেন হিরনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। বিষেশ অতিথি হিসেবে উপস্থিত তেকে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান তালুকদার, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুছ, পিরোজপুরের এমপি এ.কে এম আউয়াল, অধ্যক্ষ শাহে আলম, পারভীন তালুকদার, কেন্দ্রিয় সদস্য মনিরুজ্জামানসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।