ফকির নারী কেলেংকারী থেকে বাঁচতে স্থানীয় ৫ জনকে আসামী করে থানায় চাঁদাদাবীসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। আসামীরা পুলিশের হয়রানী থেকে বাঁচতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সম্প্রতি তৌকাঠি গ্রামে এক বিধবার ঘরে ওঠে নানা প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজী না হওয়ায় বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দু’গ্রপের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে মেম্বর মান্নান দ্রুত পালিয়ে গিয়ে মামলা দায়ের করে।
এলাকাবাসি ও ভুক্তভোগিরা জানান, মেম্বর মান্নান ১০-১২ বছর আগে তার বাড়ির পাশ্ববর্তী জয়নাল হাওলাদারের কুমারী মেয়ে তার বাড়িতে ঝিয়ের কাজ নেয়। নানা প্রলোভন দেখিয়ে মাজেদা বেগমের সাথে দৈহিক সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পুত্রের নাম আসলাম ফকির। ঐ সময়ে এলাকার প্রভাবশালী চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মোল্লার কাছে বিচার দিলেও মাজেদা তার পুত্র সন্তানের পিতৃ পরিচয় মিলাতে ব্যর্থ হয়। পরে মান্নান ও তার দলবলের চাপের মুখে মাজেদা পুত্র সন্তানটি তার পিতা জয়নাল হাওলাদারের কাছে রেখে ঢাকায় গামেন্টেসে চলে যায়। কিন্তু আজো আসলাম তার পিতৃ পরিচয় পায়নি। এলাকার বিভিন্ন লোকের সহযোগিতায় শিশুটি আজ কাপরকাঠি রেজি: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেনীতে পড়ে।
আসামীরা জানিয়েছে, মান্নান ফকিরের চারিত্রিক দোষের কারনে বিভিন্ন স্থানে নারীঘটিত ঘটনা ঘটিয়ে মিথ্যা মামলায় তাদের আসামী করা হয়েছে। মামলার আসামী প্রবাসী সোহেল মোল্লা ও প্রবাসী জসিম মোল্লা জানান, ঘটনার দিন তারা ঢাকায় ছিল। তাদের বিদেশ যেতে বাঁধা সৃষ্টি করার জন্য এ মামলায় তাদের আসামী করেছে। অপর আসামী গাছ ব্যবসায়ী বাদল হাওলাদার স্বরুপকাঠি ছিল বলে জানাগেছে। আসামী আল আমীন মোল্লা রাজমিস্ত্রির কাজে ঝালকাঠি শহরে কাজে ছিল। তারা জানিয়েছে, নারীঘটিত ঘটনায় উত্তেজিত জনতা তাকে পিটিয়ে আহত করে।
বাদী মান্নান মেম্বর জানিয়েছে, আসামী জাহাঙ্গীর হোসেন তার সাথে প্রতিদ্বন্ধীতা করে হেরে গিয়ে তার কাছে চাঁদাদাবী করে আসছিল। ঘটনার দিন তাকে দলবলসহ পিটিয়ে আহত করে। নারীঘটিত ব্যাপারে তিনি বলেন, বিরোধী দলের লোকজন তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে।