আগৈলঝাড়ায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ

নিহত গৃহবধূ চৈতি হালদারের দিনমজুর পিতা জগদিশ হালদার জানান, বিয়ের সময় বর পক্ষের চাহিদা মোতাবেক স্বর্ণালংকার ও যৌতুকের নগদ টাকা দিতে না পারায় বিয়ের পর প্রায়ই তার কন্যাকে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনে শারিরিক নির্যাতন চালাতো।
তিনি আরো জানান, তার কন্যা চৈতিকে প্রায়ই তার শাশুড়ি মঞ্জুরানী শারিরিক নির্যাতন করতো। শুক্রবার মঞ্জুরানী পূর্ণরায় চৈতির ওপর শারীরিক নির্যাতন করে। একপর্যায়ে চৈতি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে আগৈলঝাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতালে নেয়ার পর কত্যর্বরত চিকিৎসক গৃহবধূ চৈতিকে মৃত বলে ঘোষনা করে। গৃহবধূ চৈত্রির মারা যাওয়ার কথা শুনেই তার শশুর বাড়ির লোকজনে হাসপাতালে গৃহবধূ চৈত্রির লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গতকাল শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরন করেন।