অবশেষে কুমারী মাতার মৃত সন্তান প্রসব মামলা না দেয়ার জন্য হুমকি অব্যাহত

অবশেষে সাত মাসের অন্তঃস্বত্তা গৃহপরিচারিকা কুমারী মাতা রোজিনা খানমের শনিবার রাতে মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করেছে। রক্তশূণ্যতায় কিশোরী রোজিনা এখন বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। কত্যর্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিলেও অর্থাভাবে তাকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। অপরদিকে প্রভাবশালী ধর্ষকের পরিবার ও স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির অব্যাহত হুমকির মুখে মামলা করতে সাহস পাচ্ছেনা কিশোরীর পরিবার।
কিশোরীর চাচা নুরুল ইসলাম ঢালী অভিযোগ করেন, উপজেলার বাঘমারা হতদরিদ্র নুরু ঢালীর কন্যা রোজিনা খানম (১৭) জিবিকার তাগিদে দীর্ঘদিন থেকে প্রতিবেশী মতলেব ঢালীর ঘরে গৃহপরিচারিকার কাজ করে আসছিলো। গত সাত মাস পূর্বে মতলেব ঢালীর পুত্র সোহরাব ঢালী গৃহপরিচারিকার কক্ষে গিয়ে রাতে ঘুমের ঘোরে জোড়পূর্বক রোজিনাকে ধর্ষন করে। এতে রোজিনা অন্তঃস্বত্তা হয়ে পরে। লম্পট সোহরাবের নিকট আত্মীয়রা গত শনিবার ভোররাতে মুমুর্ষ অবস্থায় ভ্যানযোগে রোজিনাকে তার পিত্রালয়ের সম্মুখে ফেলে রেখে যায়। রোজিনাতে তার পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথিমধ্যে ধর্ষক সোহরাবের ভাই ফরহাদ, মামা আজাহার হাওলাদার ও প্রভাবশালী শাজাহান প্যাদাসহ তার সহযোগীরা হাসপাতালে যেতে বাঁধা দেয়। এ খবর পেয়ে গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি (অতিরিক্ত দায়িত্বে) এস.আই মিজানুল ইসলাম একদল পুলিশ নিয়ে মুমুর্ষ অবস্থায় কুমারী মাতা রোজিনাকে উদ্ধার করে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করে। ওইদিন রাতে অবশেষে কিশোরী রোজিনার গর্ভে অর্ধগলিত একটি মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করে।
হাসপাতালের কত্যর্বরত চিকিৎসক ডাঃ শ্যামল বড়াল জানান, সাত মাসের অন্তঃস্বত্তা রোজিনার গর্ভপাতের জন্য মাত্রাতিরিক্ত ঔষধ সেবন করানোর কারনে তার কন্যা সন্তানের মৃত হয়েছে। রক্ত শূণ্যতার কারনে বর্তমানে কিশোরী রোজিনার অবস্থা আশংকাজনক। তার উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।