বরিশালে ইয়াবা সম্রাট অন্তু ছিনতাকারী চক্রেরও হোতা

ইয়াবা বিক্রি করলেও এ যেন দেখার কেউ নেই। ইয়াবা ব্যবসার পাশাপাশি নগরীতে ছিনতাইকারী চক্রেরও হোতা বনে গেছে। তার  ছিনতাকারী চক্রের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।

নগরীর ফকির বাড়ি রোডের মৃত্যু আলমগীর হোসেনের পুত্র অন্তু। সে ছাত্রলীগের মহানগর কিংবা ওয়ার্ডের সদস্য পদে না থাকলেও ছাত্রলীগ নেতা হিসাবে সর্বত্র পরিচয় দিয়ে এসব অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে। কয়েক মাস আগে অপসোনিন কোম্পানীতে কর্মরত এক ব্যক্তির নিকট থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে নগদ ৫ হাজার টাকা ও মোবাইল সেট লুটে নেয়। এর আগে বরিশাল মহিলা কলেজের এইচএসসিতে পড়–য়া এক ছাত্রীকে  প্রেমের প্রতারনায় স্বর্বস্ব লুটে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে গ্রামের বাড়ি বাবুগঞ্জে পাঠিয়ে দিয়েছে। ওই ছাত্রী লোকলজ্জায় এবং ভয়ে পড়ালেখা বন্ধ করে দিয়েছে। অন্তুর অপকর্মে ফকিরবাড়ি রোড ও কালিবাড়ি রোডের ব্যবসায়ীরা বর্তমানে অতিষ্ঠ। অন্তু ও তার সহযোগীরা দোকানের বিভিন্ন পন্য ফাও নিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবাদ করলে অপপ্রচার রটিয়ে প্রতিবাদকারীকে নির্যাতন করে।

একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে অন্তু বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে  এক ছাত্রদল নেতার আর্শিবাদে ছাত্রদল করত। তৎকালীন সময়ে নানাবিধ অপকর্ম করেছিল অন্তু। বিগত সিটি নির্বাচনে আ’লীগ প্রার্থী বর্তমান মেয়র অ্যাড.শওকত হোসেন হিরনের বিরোধীতা করে এস সরফুদ্দীন আহমেদ সান্টুর পক্ষে নির্বাচন করে। এমনকি ১৭ নং ওয়ার্ডে সান্টুর পক্ষে নির্বাচনী এজেন্টেরও দ্বায়িত্ব পালন করেছে। আ’লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ভোল পাল্টে এক যুবলীগ নেতার হাত ধরে ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে আসছে। অন্তুর গ্রামের বাড়ি উজিরপুরের ঢহরপাড়ায়। বছরখানেক আগে সেখানে আপন চাচাদের গাছ জোরপূর্বক কর্তন করে বিক্রি করেছে। এ নিয়ে তার চাচা সেকান্দারের সঙ্গে বিরোধ চলছে।

১৭ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের আহবায়ক আদনান হোসেন অনি জানান অন্তু ছাত্রলীগের কেউ নয়। সে ওয়ার্ডের সদস্য পদেও নেই। ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ যদি অন্যায় অপকর্ম করে তার দ্বায়ভার ছাত্রলীগ নিবে না।