বিচারকদের নামে প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা মাসোহারা উত্তোলন

কাছ থেকে উঠানো হচ্ছে বিপুল অংকের টাকা। আর এ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে জেলা জজ আদালতে ক্যাশ সরকার দ্বীন মোহাম্মদের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে টাকা ওঠানো হলেও তা কোথায়, কিভাবে, কখন খরচ হয় জানেন না। কেউই। অবশ্য টাকা উত্তোলনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দ্বীন মোহাম্মদ বরিশালের জেলা জজশীপের আওতায় ১৭টি আদালত রয়েছে। এরমধ্যে ১০ উপজেলার জমি-জমা (দেওয়ানী) সংক্রান্ত মামলাগুলোর বিচারের জন্য ১০ টি সহকারী জজ আদালত ও ফৌজদারী এবং দেওয়ানী মামলা বিচারের জন্য আরো ৭টি দায়রা জজ আদালত রয়েছে। প্রতিটি আদালতে ১জন করে পেশকার (রেঞ্জ সহকারী) সেরেস্তাদার, স্টানো কাজ করছে। এর বাইরেও আদালতের বিভিন্ন পদে কর্মরত আছেন শতাধিক কর্মচারী। একাধিক সূত্র জানায় বিচার কাজে কর্মচারীদের মধ্যে মূখ্য ভূমিকায় থাকেন পেশকার। তাই এদের কাছ থেকে আদায় করা হয় এ মাসোয়ারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারীর অভিযোগ অধিকাংশ আদালতের পেশকারদের কাছ থেকে মাসে ১২ শ’ থেকে ১৫ শ’ টাকা আদায় করা হয়। আর অধিক সংখ্যক মামলা থাকা ২টি আদালতের পেশকারকে গুনতে হয় ৪গুন অর্থ। বিচারকদের বিভিন্ন খরচের কথা বলে ঐ টাকা উত্তোলন করা হলেও তা কিভাবে কোথায় খরচ হয় তা জানেন শুধুমাত্র ক্যাশ সরকার। টাকা আদায়ের সময় বিচারকদের নাম বলায় সাধারন কর্মচারীরা এনিয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়না। উলে¬খ্য ক্যাশ সরকার পদে কর্মরত দ্বীন মোহাম্মদের বিরুদ্ধে রয়েছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। সাবেক এক জেলা জজ কর্তৃক গৃহ পরিচারিকা ধর্ষনের অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে ঐ বিচারকের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন ধর্ষিতা। অভিযুক্ত দ্বীন মোহাম্মদ ঝালকাঠী থেকে বদলী হয়ে বরিশাল আসে। দীর্ঘদিন ধরে একই স্থানে চাকুরী করায় দিনে দিনে সে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন। ক্যাশ সরকারের পাশাপাশি নায়েবে নাজিরের পদটিও তার দখলে রয়েছে। দু’টি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় সাধারণ কর্মচারীরা ‘রা’ করতে পারেন না। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, পূর্বের নায়েবে নাজির সৈয়দ সামসুদ্দিন মাসুম মাসোহারা তুলতেন। বর্তমানে তোলা হয় না। আমার আমলে মাসোহারা তোলা হয়না। এ ব্যাপারে বরিশালের জেলা ও দায়রা জজ একেএম সলিমউল্লাহ বলেন, এধরনের অভিযোগ আমার কানে আসেনি। এরপরও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।