বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১১ সনের ১২ জনের এ তালিকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন সপ্তম স্থানে। প্রথম স্থানটি নিয়েছেন থাইল্যান্ডের সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমলাক সিনাওয়াত্রা। ইমলাকের পরের স্থানগুলোতে যথাক্রমে-জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ক্রিস্তিনা ফার্নান্দেজ দি কার্শনার, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফ, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড, লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যালেন জনসন সিরলিফ। শেখ হাসিনার পরের তালিকায় যাদের নাম রয়েছে, তারা হলেন-আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জোহানা সিগার্ডারডটির, কোস্টারিকার প্রেসিডেন্ট লরা সিনচিলা, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট তারজা হ্যালোনেন, লিথুনিয়ার প্রেসিডেন্ট দালিয়া গ্রেবস্কাইত এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর প্রধানমন্ত্রী কামলা পার্সাড-বিসেসার।
খবর বহুল প্রচারিত সাময়িকী ‘টাইম’র। শেখ হাসিনা সম্পর্কে টাইম বলেছে, বার বার প্রতিকূলতাকে জয় করে এগিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের এই নেত্রী। ১৯৭৫ সনে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সময় বেঁচে যাওয়া, ২০০৪ সনে গ্রেনেড হামলা থেকে বেঁচে যাওয়ার ঘটনাগুলো তুলে ধরেছে সাময়িকীটি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা ২০০৯ সনে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৯৫ সন থেকে ২০০১ সন পর্যন্ত সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন।
শেখ হাসিনার জন্ম ১৯৪৭ সনের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায়। ১৯৭৩ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেন তিনি। বাবার পথ ধরে ছাত্র জীবনেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি তার। ইডেন কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) ছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন। ১৯৭৫ সনের ১৫ আগস্ট ভয়ালকালো রাতে ঘাতকদের নির্মম হত্যাকান্ডে শেখ হাসিনার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পরিবারের অন্য সব সদস্যদের হারান শেখ হাসিনা। তিনি ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় ওইদিন ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে তারা প্রানে বেঁচে যান। এরপর দেশে ফিরে বাবার দল আওয়ামীলীগের হাল ধরেন শেখ হাসিনা। এখনো দেশের অন্যতম পুরনো এ দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।