উম্মে রুম্মান, বরিশাল ॥ আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী এবং সরকার দলীয় ক্যাডারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা পৃথক-পৃথক ভাবে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ঝঁটিকা মিছিল করেছে। সদর রোড সহ নগরীর প্রাণকেন্দ্রে বিএনপি’র কোনো নেতা-কর্মীকে দেখা যায়নি। সকাল থেকেই বিএনপি’র মিছিল ঠেকাতে সড়কে মোটর সাইকেল নিয়ে মহড়া দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিকেল ৪টায় দলীয় কার্যালয় থেকে বিএনপি মিছিল বের করার ঘোষনা দিলেও আগে ভাগেই পুলিশ বিএনপি অফিস ও অশ্বিনী কুমার টাউন হল এলাকা কর্ডন করে রাখে। মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ কামরুল আহসান শাহীন নির্ধারিত সময় দলীয় কার্যালয়ের সামনে গেলেও পুলিশি বাধার কারণে তার সাথে থাকা নেতা-কর্মীরা সেখানে দাঁড়াতে পারেনি বলে শাহীন জানান। পরে কামরুল আহসান শাহীনের নেতৃত্বে নগরীর কাটপট্টি রোড এলাকা থেকে একটি মিছিল বের হলেও তা চকবাজার এলাকায় গিয়ে পুলিশি বাঁধার মুখে পন্ড হয়ে যায়।
এদিকে মহানগর জামায়াতে ইসলামীর ব্যানারে বেলা আড়াইটার দিকে নগরীর ফজলুল এভিনিউ থেকে একটি ঝটিকা মিছিল বের হয়। মিছিলটি কাকলী হল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। বিএনপি’র মিছিল ঠেকাতে সোহেল চত্ত্বর এলাকায় অবস্থান গ্রহণকারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা বিকেল ৫টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়ে মিছিল বের করে। মিছিল শেষে ছাত্রলীগ নগরীতে পুনরায় মোটর সাইকেল মহড়া দেয়। কাউনিয়ার বাসভবনে অবস্থানগ্রহণকারী মজিবর রহমান সরোয়ার এমপি সন্ধ্যায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে নতুন বাজার এলাকায় মিছিল করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত মিছিল হয়নি। সরোয়ারর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পুলিশি বাঁধার কারণে মজিবর রহমান সরোয়ার দিনভর বাসায় অবরুদ্ধ ছিলেন। জেলা বিএনপি’র সভাপতি আহসান হাবিব কামাল তার স্ত্রীর দেহে অস্ত্রপচারের কারণে ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। বিএনপি’র অপর কোনো সিনিয়র নেতাকে রাজপথে দেখা যায়নি।