শিক্ষক কর্তৃক স্ত্রীর নগ্ন চিত্র ভিডিও ধারন করে বাজারে বিক্রি

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ শিক্ষক কর্তৃক দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে মেলামেশার নগ্ন চিত্র গোপনে ভিডিও ধারন করে বন্ধুর মাধ্যমে দেদারছে বাজারে বিক্রির ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। টাকা বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল উঠে পরে লেগেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার দুপুরে লম্পট শিক্ষক কর্তৃক এ ঘটনার তথ্য ফাঁস হওয়ার পর পরই এলাকা থেকে আত্মগোপন করেছে শিক্ষক নিকুঞ্জ মধু ও তার বন্ধু ফয়সাল। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সোমাইরপার গ্রামে।   

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, কোটালীপাড়া উপজেলার হরিণাহাটি গ্রামের নির্মল মধুর পুত্র নিকুঞ্জ মধু একবছর পূর্বে ঢাকায় অবস্থানকালে গার্মেন্টস শ্রমিক আগৈলঝাড়া উপজেলার সোমাইরপাড় গ্রামের গৌরাঙ্গ অধিকারীর কন্যা মনিকার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে নিকুঞ্জ মধু কৌশলে মনিকাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর নিকুঞ্জ স্ত্রী মনিকাকে নিয়ে তার বাবার সোমাইরপার গ্রামের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। নিকুঞ্জ স্থানীয় ভাবে প্রাইভেট শিক্ষক হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেন।

এরইমধ্যে সু-চতুর নিকুঞ্জ মধু তার স্ত্রী মনিকার সাথে মেলামেশার নগ্ন চিত্র ভিডিও ধারনের পর তার বন্ধু ফয়সালের মাধ্যমে পর্নো সিডি তৈরী করে। সূত্রে আরো জানা গেছে, ফয়সালের মাধ্যমে দীর্ঘদিন থেকে ওই পর্নো সিডি বাজারজাত করা হয়। ফয়সাল আর নিকুঞ্জর একই গ্রামে বাড়ি। ফয়সাল হরিনাহাটি গ্রামের আব্দুস সামাদ খানের পুত্র। পয়সারহাট বন্দরে ফয়সাল টেলিকম এন্ড কম্পিউটার নামে ফয়সালের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

নিকুঞ্জ তার স্ত্রীর ৮ মিনিট ১০ সেকেন্ডের পর্ণো ভিডিও সিডি তার বন্ধু ফয়সালের মাধ্যমে বিক্রি করছে। যা মাল্টিমিডিয়া মোবাইলে দেদারছে কপি বিক্রি হচ্ছে। মোবাইলে কপি সংগ্রহকারী একাধিক যুবকেরা জানিয়েছেন, তারা ৫০ থেকে ১’শ টাকা দিয়ে ফয়সালের দোকান থেকে কপি সংগ্রহ করেছে। পয়সারহাট বন্দরের সকল বয়সী লোকজনের গন্ডি পেরিয়ে ব্লুটুথের মাধ্যমে উপজেলার সর্বত্রই শিক্ষক নিকুঞ্জ ও তার স্ত্রীর মেলামেশার গোপন দৃশ্য ও পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে পড়েছে।

সূত্রগুলো আরো জানিয়েছে, শিক্ষক নামের ওই লম্পট নিকুঞ্জ ইতিপূর্বে আগৈলঝাড়া উপজেলার ফেনাবাড়ি গ্রামে একটি বিয়ে করলেও ওই সংসার তাদের বেশিদিন টেকেনি। গতকাল রবিবার দুপুরে শিক্ষক নিকুঞ্জ ও তার বন্ধু ফয়সালের এ গোপন ব্যবসার রহস্য ফাঁস হওয়ার পর পরই তারা দু’জনই আত্মগোপন করেছে। তবে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল উঠে পরে লেগেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

পর্নো সিডি তৈরী ও বিক্রির ব্যাপারে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়ের সত্যতা স্বীকার করে ওই এলাকার ইউপি সদস্য কুমোদ রঞ্জন রায় বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্ময়ে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। এতে সমস্যার সমাধান না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।