ইসিতে রদবদল ৫৬ কর্মকর্তার পদোন্নতি

খোন্দকার কাওছার হোসেন : অবশেষে ঢেলে সাজানো শুরু হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি)। গতকাল মঙ্গলবার যুগ্মসচিব, উপ-সচিব ও জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পদে ৫৬ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছে। পদোন্নতি ও মাঠ পর্যায়ে বদলির মধ্য দিয়ে ঢেলে সাজানোর কার্যক্রম শুরু করলো ইসি। গতকাল মঙ্গলবার ইসি সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পদোন্নতি পাওয়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ইসি সচিবালয়ের নতুন দায়িত্বে কাজ শুরু করেছেন। এখন সবাই অপেক্ষা করছেন ইসির পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য। এটা পেলেই পদোন্নতি প্রাপ্তদের মাঠপর্যায়ে বদলির চিঠি দেয়া হবে।

ইসি সচিবালয়ের নতুন জনবল কাঠামো অনুযায়ী মঙ্গলবার দুজন যুগ্মসচিব, ৯ জন উপ-সচিব/পরিচালক এবং ৪৫ জন সিনিয়র সহকারী সচিব/অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা/ জেলা নির্বাচন অফিসার/উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।

সূত্র জানায়, ইসির ৪০ বছরের ইতিহাসে এবারই ইসি কর্মকর্তাদের সচিবালয় থেকে মাঠপর্যায়ে বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিশন। এ নিয়ে ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে ক্ষোভ কাজ করছে। তারা ক্ষুব্ধ হয়ে সিইসিকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলেও পরে সরকারের অনমনীয় মনোভাবের ফলে পিছু হটতে বাধ্য হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালে প্রণীত প্রতিষ্ঠানটির চাকরিবিধি অনুযায়ী কোনও কর্মকর্তা ইসি সচিবালয়ে নিয়োগ পেলে আর মাঠপর্যায়ে বদলির সুযোগ থাকতো না।

পদোন্নতি জটিলতা, কেন্দ্র ও মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তাদের বৈষম্য দূর করতে ২০০৯ সালে স্বতন্ত্র ইসি সচিবালয় আইন প্রণয়নের পর চাকরিবিধি সংস্কার ও নতুন জনবল কাঠামোর উদ্যোগ নেয় ইসি।

প্রথম শ্রেণী কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকবার গ্রেডেশন লিস্ট করার পর গতকাল মঙ্গলবার প্রথমধাপে একযোগে ৫৬ কর্মকর্তার পদোন্নতি হলো। ইসির সচিবালয়ের প্রশাসন শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, উপ-সচিব পর্যায়ে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের দুয়েক দিনের মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে আঞ্চলিক উপ-নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বদলি করা হতে পারে। জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদেরও ইসি সচিবালয়ে বদলি করা হবে বলে জানান তিনি।