ঢাকা-সিলেট রোডমার্চ আজ শুরু

খোন্দকার কাওছার হোসেনঃ বিএনপির নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে আজ সোমবার সকাল ১০টায় সিলেট অভিমুখে রোড মার্চ কর্মসূচি শুরু করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া।

গতকাল রোববার বিকালে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরী সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর বিএনপি ও রোড মার্চ ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকা।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর তিন বিভাগীয় শহর অভিমুখে রোড মার্চের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন খালেদা জিয়া। এ অনুযায়ী আগামী ১৮ অক্টোবর ঢাকা-রাজশাহী এবং ২৫ অক্টোবর ঢাকা-চট্টগ্রাম যাওয়ার কথা। তবে পরে চট্টগ্রামমুখী রোড মার্চ স্থগিত করেছে দলটি।

আজকের রোডমার্চটি গুলশানের কার্যালয় থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পরে বিএনপির তা পরিবর্তন করে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে।

শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচির সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে গতকাল রোববার অভিযোগ করা হয়, স্থানীয় ক্ষমতাসীন ও প্রশাসনের চাপে রাজধানীর কয়েকটি স্থানে রেন্ট এ কারের ভাড়া করা Namecheap.com - Cheap domain name registration, renewal and transfers - Free SSL Certificates - Web Hostingগাড়ির অগ্রিম অর্থ ফেরত দেয়া হচ্ছে। এ ধরণের কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, ক্ষমতাসীনদের এ ধরণের তৎপরতা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। আমরা আশা করব- তারা এ থেকে বিরত থাকবেন। তিনি বলেন, রোড মার্চে বাধা দেয়া হলে তার দায় সরকারকেই বহন করতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিএমপি কমিশনার বলেছেন- রোডমার্চে সহযোগিতা করা হবে। আমরা খুশি। ১১ তারিখের পর শেখ হাসিনার এ ঘোষণার বাস্তবায়ন দেখতে চাই। সেটা হলে গণতন্ত্রের জন্য তা সহায়ক হবে।

রোডমার্চের রুট
সকাল দশটায় বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে  মতিঝিল শাপলা চত্বর, ইত্তেফাক মোড়, সায়েদাবাদ, চট্টগ্রাম রোড, কাঁচপুর ব্রীজ হয়ে সিলেটের উদ্দেশে যাত্রা করে রাতে যে কোন এক সময় সিলেট পৌঁছবেন। পথে ছয়টি স্থানে পথসভায় বক্তব্য দেবেন খালেদা জিয়া। বেশ কয়েকটি জায়গায় শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তিনি।

যেখানে যেখানে পথসভা হবে
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবো চৌরাস্তা, নরসিংদীর ইটখোলা মাঠ, কিশোরগঞ্জের ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঙ্গালবাড়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠ, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ মোড় ও মৌলভীবাজারের শেরপুর। রাতে সিলেটে রাত্রিযাপন শেষে পরদিন হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে শুরু হবে দিনের কর্মসূচি। বিকেলে আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জনসভায় ভাষণ দেয়ার মধ্য দিয়ে সিলেট রোড মার্চ শেষ হবে।

তিন হাজার গাড়ি অংশ নেবে
কমবেশি তিন হাজার গাড়ি রোডমার্চে অংশ নেবে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে দলের পক্ষ থেকে ওইসব গাড়ির জন্য দলীয় স্টিকার সরবরাহ করা হয়েছে।
Namecheap.com - Cheap domain name registration, renewal and transfers - Free SSL Certificates - Web Hosting
গাড়ির টোলের বিকল্প ব্যবস্থা
সিলেটের পথে তিনটি সেতুতে এতো বেশি সংখ্যা গাড়ির টোল দিতে গেলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে দলের পক্ষ থেকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঙ্গে আলাপ করে বিকল্প সিদ্ধান্ত  নিয়েছে দলটি। বিকল্প সিদ্ধান্তটি হলো-সব গাড়ির হিসাব করে পরবর্তীতে একসঙ্গে বিল দেয়া হলে তা পরিশোধ করবে বিএনপি। এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে।

কোন কোন দল অংশ নেবে
চারদল ভুক্ত বিএনপি, জামাত, বিজেপি ও ইসলামী ঐক্যজোটের বাইরে একমাত্র এলডিপিসহ সমমনা দল, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতারা, সংসদ সদস্য ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন।

রোডমার্চে বাধা এলে
রোডমার্চে বাধা এলে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সাদেক হোসেন খোকা ইতিমধ্যেই বলেছেন, কোন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম হলে তার দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। জোট শরিক  ও সমমনাদের সঙ্গে বসে করণীয় ঠিক করা হবে।

সরকারের কাছে আবেদন
এরইমধ্যে সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছে বিএনপি তা জানিয়ে সাদেক হোসেন খোকা বলেন, ঢাকা মহানগর ও সংশ্লিষ্ট যেসব জেলার ওপর দিয়ে রোডমার্চ যাবে স্থানীয় প্রশাসন যেন সহায়তা করে।
তিনি বলেন, শেষের দুএকটি স্পটে পথসভায় বক্তৃতা করার সময় রাত হতে পারে। বিশেষ করে স্থানীয় প্রশাসন খালেদা জিয়ার প্রাপ্য যে প্রটোকল সেটা যেন তাকে দেয়। একই সঙ্গে যেসব এলাকার ওপর দিয়ে রোডমার্চ যাবে ওইসব এলাকার সরকার দলীয় যেসব এমপি আছেন তারা যেন দলীয় নেতাকর্মীদের শান্ত রাখেন। আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালনে সহায়তা করেন।

বেসরকারি টিভিতে সরাসরি সম্প্রচার
বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল রোডমার্চ ও পথসভা সরাসরি সম্প্রচারের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে সর্বপ্রকার সহযোগিতা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আগ্রহী টিভি চ্যানেলগুলো হলো এনটিভি, বাংলাভিশণ, দিগন্ত টিভি ও একুশে টেলিভিশণ

রোডমার্চে সহায়তা দেবে সরকার
বিরোধী দলের রোডমার্চে সরকার সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। গতকাল রোববার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সারদাহ পুলিশ একাডেমীর শতবর্ষ পূর্তির প্রস্তুতিমূলক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তবে রোডমার্চের নামে গাড়ি ভাঙচুর, অরাজকতা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাজধানীতে সহযোগিতা করবে ডিএমপি
রাজধানীতে বিএনপির রোডমার্চ নির্বিঘ্নে করতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল রোববার এ উপলক্ষে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের এক বৈঠকের পর দলটির মহানগর সদস্য সচিব আবদুস সালাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। সকাল ১০টার দিকে ট্রাফিক দক্ষিণের উপ-কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ ব্যাপারে ডিএমপির কমিশনার বেনজির আহমেদ বলেন, যে কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ সব ধরনের সহযোগিতা করবে।

নারায়ণগঞ্জে লাখো লোকের শো ডাউনের প্রস্তুতি
বড় ধরনের শো ডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে নারায়নগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি, আজ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অন্তত লক্ষ লোকের শো ডাউন করা হবে। এ জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার গতকাল রোববার জানান, সোমবার রোডমার্চে অন্তত লক্ষাধিক লোকের সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে ট্রাক, বাসসহ বিভিন্ন পরিবহনে করে লোকজন তারাবো নেয়া হবে।

পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার শেখ নাজমুল আলম। তিনি জানান, রূপগঞ্জে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও আমর্ড পুলিশ থাকবে।

রোডমার্চের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ বিএনপির
সিলেট থেকে ফারুক আহমদ জানান, রোডমার্চকে কেন্দ্র করে সিলেটে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে বিএনপি-জামাত নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট। কর্মসূচি সফল করতে সিলেটে বিএনপির চেয়ে জামাত বেশি সক্রিয়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে জামাত সিলেট জেলার সব কটি উপজেলায় প্রস্তুতি সভা, প্রচার, জনসংযোগ ও মিছিল করেছে। স্থানীয় জামাতের নেতারা অভিযোগ করেন, শহরে সভা বা মিছিল করতে গেলে পুলিশ বাধা দিচ্ছে।

বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধ মিটিয়ে দলের সবাইকে নিয়ে একযোগে মাঠে নামাতে উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় নেতারা সংশ্লিষ্ট জেলা পরিদর্শন ও কর্মিসভা করেছেন।

সিলেটে রোডমার্চ-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, রোডমার্চ সফল করতে সম্ভাব্য সবকিছু করা হচ্ছে, প্রস্তুতিও ভালো। স্থানীয় সব নেতাকে বলা হয়েছে, সব ভেদাভেদ ও ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি ভুলে কর্মসূচি সফল করতে হবে।

অন্যদিকে রাতের আঁধারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সরকার জনসভা ও রোডমার্চের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে বলে অভিযোগ করেছে চারদলীয়  জোট। গতকাল রোববার দুপুর একটায় সিলেটে চারদলীয় জোটের প্রেস ব্রিফিংয়ে এ অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী।

তিনি অভিযোগ করেন, সমাবেশ বাধাগ্রস্থ করতে সরকার তৎপর। লিফলেট- পোষ্টার ছেড়া হচ্ছে রাতের আধারে।

তিনি বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণের দাবি আদায় করতে চায়। এতে সরকারের পক্ষ থেকে বাধা এলে তাৎক্ষণিক অবস্থান কর্মসূচি পালিত হবে। প্রয়োজনে হরতালও দেয়া হতে পারে। এটা নির্ভর করবে সরকারের আচরণের ওপর। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় চারদলের স্থানীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলাদা সাইফুর অনুসারীরা
প্রয়াত এম সাইফুর রহমানের অনুসারী বিএনপির নেতা-কর্মীরা গত বৃহস্পতিবার থেকে আলাদাভাবে প্রচারে নামেন। এই অংশের নেতা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কাহের শামীম বলেন, আমাদের তারা (ইলিয়াস আলীর অনুসারীরা) ডাকেনি। দল যেহেতু একটাই আর কর্মসূচিও একটি, তাই আমরা পৃথকভাবে প্রচার শুরু করলাম।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল গফফার বলেন, এটা আসলে জনসমুদ্রের বিপরীতে গুটি কয়েকজনের আলাদা থাকার চেষ্টা। আমরা তো কাউকে ডেকে আনছি না। সবাই দলীয় স্রোতের টানে আসছে। তারা এলে ভালো, না এলে কিছু করার নেই।

কর্মসুচিকে সফল করতে শুক্রবার থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সিলেটে পৌঁছায়। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিএনপির সব পক্ষকে একযোগে মাঠে নামানোর উদ্যোগ নিলেও কার্যত সফলতার মূখ দেখেনি।

রোড মার্চের পর চূড়ান্ত আন্দোলন
সারাদেশে রোড মার্চের মাধ্যমে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আন্দোলনে যাবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গতকাল রোববার দুপুরে মহানগর নাট্যমঞ্চে জেহাদ স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে স্বৈরাচার এরশাদ পতন আন্দোলনে নিহত নাজিরউদ্দিন জেহাদের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।  

তিনি বলেন, আমরা রোড মার্চ করতে চাইনি। সরকার আমাদের রোড মার্চে নামতে বাধ্য করেছে। তারা দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সর্বগ্রাসী দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে দেশ। জনগণ আজ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।

তিনি জানান, এ অবস্থা থেকে উত্তরণে খালেদা জিয়া পর্যায়ক্রমে সারাদেশে রোড মার্চে বেরুবেন। সোমবার (আজ) সিলেট অভিমুখে রোড মার্চের পর ১৮ অক্টোবর রাজশাহী এবং পরে চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও রংপুরের দিকে রোড মার্চ হবে।

রোড মার্চ কর্মসূচির কারণ ব্যাখ্যা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এর মাধ্যমে খালেদা জিয়া সারাদেশে ১৬ কোটি মানুষকে জাগিয়ে তুলে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষার লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ করতে চান।