তদ্বীর মুক্ত গৌরনদী থানা – অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ “দয়া করে মাদক সেবী কিংবা বিক্রেতাকে গ্রেফতারের পর, তাকে ছাড়ানোর জন্য আমাকে কেউ তদ্বীর করবেন না। যে পর্যন্ত মাদক নির্মুল না হবে সে পর্যন্ত থানা পুলিশের ঝটিকা অভিযান অব্যাহত থাকবে। মাদক সেবী কিংবা বিক্রেতা যে দলের, যতো বড় নেতাই হোক না কেন তার সাথে কোন আপোষ করা হবে না। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাকে কোন না কোন সাজা পেতেই হবে” স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও সুধী সমাজের নেতৃবৃন্দের সাথে থানা কম্পাউন্ডে মতবিনিময় সভায় কথাগুলো বলেছেন বরিশালের গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম।

বিশেষ অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে গৌরনদীর বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে মাদক বিকিকিনির কয়েকটি স্থায়ী স্পট। মাদক সেবীরা সহজেই হাতের কাছে মাদক পাওয়ায় তা সেবনের পর চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পরছে। যে কারনে গত এক সপ্তাহে গৌরনদীতে চুরি, ছিনতাই অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এসব অপকর্মের সাথে জড়িতরা অধিকাংশরাই হচ্ছে নেশাগ্রস্থ। নেশার টাকা যোগাড় করতে তারা একের পর এক অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পরছে। যে কারনে প্রথমেই নেশার বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষনা করে মাঠে নেমেছেন থানা পুলিশ। তারই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে দক্ষিণ পালরদী গ্রাম থেকে এক মাদক সেবীকে (প্রভাবশালী যুবলীগ নেতাকে) পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও মাদকের স্থায়ী স্পট গুলোতে থানা পুলিশ গত দু’দিনে কয়েকদফা অভিযান চালিয়েছে। এ বিশেষ অভিযান চালানোর পূর্বে গত শুক্রবার থানা পুলিশের উদ্যোগে স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও সুধী সমাজের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পূর্বে সরকারি গৌরনদী কলেজ মসজিদে বয়ান করে মুসুল্লীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই কিংবা মাদক ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রতিরোধে এলাকাবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে। পুলিশের একার পক্ষে এসব অপর্কম রোধ করা সম্ভব নয়। সে জন্য তিনি দলমত নির্বিশেষে এলাকাবাসীকে এগিয়ে আসার আহবান করেন।