বরিশালে এপিপিকে বিচারকের সর্তকবার্তা

উম্মে রুম্মান,বরিশাল ॥ দাবিকৃত ২ হাজার টাকা না দেয়ায় এক সাক্ষীকে নির্ধারিত দিনে বরিশালের একটি আদালতে সাক্ষ্য দিতে দেননি সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মির্জা এমরানউল্ল্যাহ। বিষয়টি জানতে পেরে ঐ সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটরকে (এপিপি) সর্তক করে দিয়েছেন বরিশালের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবুল কালাম আজাদ।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ২১ এপ্রিল হিজলা উপজেলার তুলাতলি মৌলভীর হাটে ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের দোকানে চুরি হয়। ২৯ এপ্রিল চোরাই মালামালসহ পুলিশ আসামী আব্দুস ছত্তার, খোকন সরদার ও মোস্তফা মৃধাকে আটক করে। এ ঘটনায় আনোয়ার থানায় মামলা করেন। পুলিশ ঐ তিনজন এবং ইব্রাহিম নামে আরো একজনসহ মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলাটি বিচারের জন্য ৫ম আমলী আদালতে পাঠানো হয়। মামলার বাদী আনোয়ার ও সাক্ষী হাই সরদার আদালতে একাধিক নির্ধারিত দিনে সাক্ষী দিতে আসেননি। এ কারনে বিচারক তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারীর নির্দেশ দেন। পুলিশ সোমবার ধার্য্য দিনে তাদের আদালতে হাজির করেন। কিন্তু আদালতে সাক্ষ্য প্রদানে সহায়তা করার কথা বলে এপিপি মির্জা এমরান উল্ল্যাহ তাদের কাছে ২ হাজার টাকা দাবী করেন। তারা ৪শ’ টাকা দিলে এপিপি তাদের এজলাসে হাজির করেননি। বিকেলে আনোয়ার ও হাই তাদের ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে টাকা দাবি এবং সাক্ষ্য না দেওয়ানোর বিষয়টি বিচারককে অবহিত করেন। বিচারক ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে এপিপি এমরান উল্ল্যাহকে সর্তক করে দেন।

বরিশাল জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর গিয়াসউদ্দিন কাবুল জানান, বিষয়টি তিনিও শুনেছেন। এ ঘটনা দুঃখজনক। বাদী লিখিত অভিযোগ দিলে সংশ্লিস্ট এপিপি’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।