উজিরপুরের চথলবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি হুমকির মুখে

উজিরপুর প্রতিনিধি: উপজেলার বরাকোঠা ইউনিয়নের সাকরাল গ্রামটি রাক্ষুসে সন্ধ্যা নদীর করাল গ্রাসে বিলিন হয়ে গেছে। ইতি পূর্বে উজিরপুরের মানচিত্র থেকে ওই গ্রামের তিন চতুর্থাংশ নদী গর্ভে চলে গেছে। শত শত পরিবার ভিটা হারা হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সবকিছু নদীতে চলে যাবার পরে এবারে গ্রাস করতে বসেছে আব্দুল মজিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনটি। গত কয়েক মাস পূর্বে একটি সমবায় ব্যাংক, একটি বাজার, চথলবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ টি পাকা ভবন, উজিরপুর-সাতলা সড়কটি সম্পূর্নরুপে নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে। বর্তমানে আব্দুল মজিদ (বহুমুখী) মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের দোতলা ভবনটি নদী গর্ভে যেকোন সময় চলে যেতে পারে। গত ২  দিন পূর্বে নদী ভাঙ্গন থেকে প্রায় ৮০ ফুট দূরে থাকা স্কুল ভবনটি গতকাল মঙ্গলবা সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নদী থেকে স্কুলের দুরুত্ব মাত্র ২০ ফুট। এ অবস্থা দেখে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারন স্কুল চলাকালীন যেকোন সময় নদী গর্ভে দেবে যেতে পারে ভবনটি। সরকারীভাবে ওই সম্পদটি  রক্ষা কিংবা বিকল্প কোন পদক্ষেপ না নিলে যানমাল সহ ভবনটির বড় ধরনের ক্ষয় ক্ষতির আশংকা করছে এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার স্কুল ম্যানিজিং কমিটির এক সভায় বিদ্যালয় ভবনটি ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। বরাকোঠা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেন জানিয়েছেন সরকারীভাবে পদক্ষেপ নিয়ে যদি দু’একদিনের মধ্যে দালানটি ভেঙ্গে ফেলা না হয় তাহলে আমরা সবকিছু হারাবো। স্কুলটি নদী ভাঙ্গনে চলে গেলে আমাদের একুল যাবে ওকুলও যাবে। উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বাদল জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সরাসরি হস্তক্ষেপে অনতি বিলম্বে প্রতিষ্ঠনটির ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। তাতে যদি দেরি করা হয় তাহলে আমাদের বড়ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে।