ঝালকাঠির তন্নি দেবনাথ ফিরে গেলো স্বামীর গৃহে!

আহমেদ আবু জাফর, ঝালকাঠি ॥ সমাজপতি ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিচারের আশায় ঘুরে ঘুরে সর্বশান্ত তন্নি দেবনাথ (২৬) অবশেষে স্বামী গৃহেই ঠাঁই পেয়েছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপে কন্যা সন্তান নিয়ে তন্নি এখন স্বামী গৃহে সুখেই আছে।

জানাগেছে, ৪ বছর আগে পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কাগজের পোল গ্রামের মাখন দেবনাথের পুত্র টিটু দেবনাথের সাথে ঝালকাঠি বিকনা গ্রামের সমীর দেবনাথের কন্যা তন্নী দেবনাথের সাথে বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম লাভ করে। বিয়ের সময় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পিতা কন্যার সুখের আশায় স্বর্নালংকারসহ নগদ টাকা তুলে দেন জামাতার হাতে। কিন্তু এতে সে খুশি হতে না পেরে বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন কারনে ঝগড়া-বিবাদ ও মারপিট শুরু করে যৌতুক দাবী তোলে।

এক পর্যায়ে স্থানীয় বাউফল পৌরসভার কাউন্সিলর ইউনুস খান, জলিলুর রহমান ও স্থানীয় সুশান্ত দেবনাথ স্বামী পরিবার তন্নিকে ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে তন্নিকে এক কাপড়ে পিতার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়। স্বামীর তাড়িয়ে দেয়া স্ত্রী তন্নি সংসারের মোহ ছাড়তে না পেরে বিচার চায় বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ঝালকাঠি জেলা শাখা কার্যালয়ে। ঝালকাঠি জেলা কমিটির সভাপতি এ্যাড. লিয়াকত আলী খান ও সাধারন সম্পাদক আবু সাঈদ খান’র প্রচেষ্টায় নোটিশ করা হয় বাউফল পৌরসভার কাউন্সিলরসহ জামাতা টিটু দেবনাথকে। নোটিশ পেয়ে কাউন্সিলরসহ জামাতা এবং তন্নি দেবনাথ গত ১৬ অকটোবর সংগঠনের ঝালকাঠি জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে মানবাধিকার কমিশন  আগের স্ট্যাম্পের কার্যকারিতা স্থগিত করে স্বামী-স্ত্রী’র দাম্পত্য জীবন রক্ষার জন্য নির্দেশ দেন। মানবাধিকার কমিশন কার্যালয়ে উপস্থিত সংগঠনের অপর নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে সহ-সভাপতি দীপু লাল দাস, অর্থ সম্পাদক কবি এমএ মুসা, যুগ্ম-সম্পাদক আলমগীর হোসেন, প্রচার সম্পাদক আজিজুল হক, সদস্য আফজাল হোসেন ও স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির প্রমুখ শালীসগনের সামনে টিটু তন্নিকে নিয়ে পটুয়াখালী চলে যায়। বর্তমানে তন্নি তার স্বামী পরিবারে সুখেই আছে। তিনি মানবাধিকার কমিশনের নেতৃবৃন্দের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।