আগৈলঝাড়ায় ভূয়া দলিল

ওই দলিলে আরো ৪ জন দাতা রয়েছে। তারাও নাগর আলী, করম আলীর ভাই ও চাচা হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। ভূয়া দলিলটি লেখেন স্থানীয় বাদল মন্ডল (যার লাইসেন্স নং- ২৩৪৩)। নাগর আলী ও করম আলী তাদের স্বাক্ষর দলিল সম্পাদন হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে সম্প্রতি বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট’র ৪র্থ আমলী আদালতে দাতা, গ্রহীতা, দলিল লেখক, স্বাক্ষী, পরিচিতদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং- ১০৩/০৯)। মামলার পর আদালত আগৈলঝাড়ার সাব রেজিষ্ট্রারকে তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে সাব-রেজিস্টার দু’দফায় বাদি-বিবাদীকে নোটিশ দিয়েও তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে পারেননি।
মামলার বাদি নাগর আলী অভিযোগ করেন, ভূয়া দলিলের স্বাক্ষী পরিচিতরা স্থানীয়ভাবে মিমাংসার নামে দু’দফা সময় নিয়ে এখনো কোন সুরাহা করেননি। অপরদিকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য আসামি ও তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা তাকে (নাগর আলীকে) নানা ধরনের ভয়ভিতীসহ জীবন নাশের হুমকি প্রদান করছে। অব্যাহত হুমকির মুখে নাগর আলী এখন চরম নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন।
নাগর আলীর নামসম্বলিত দলিল সম্পর্কে আগৈলঝাড়ার খন্ডকালীন দায়িত্বে থাকা সাব-রেজিস্টার প্রভাকর সাহা বলেন, প্রাথমিকভাবে দলিলটি ভূয়া প্রমানিত হয়েছে। তবে তদন্ত প্রতিবেদনের পর জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে আদালতই ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।