আর্কাইভ

কলাপাড়ায় শিক্ষকের দায়িত্বহীনতায় পরীক্ষা বঞ্চিত লাভলী

বরিশাল প্রতিনিধি ॥ কলাপাড়ায় আক্কেলপুর নুরিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার সাইদ আহমদের দায়িত্বহীনতা আর সহকারী শিক্ষক আব্দুল মজিদের অজ্ঞতার কারনে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি লাভলী। পরীক্ষার একদিন পরে লাভলীকে প্রবেশপত্র দেয়া হয় ।

জানা যায়, ২০১০ সালে জায়েদা লাভলি জেএসসি পরীক্ষায় এক বিষয়ে অৃতকার্য হয়। লাভলীর রোল নম্বর ৩১৯২৫৫, রেজিস্ট্রেশন নম্বর-১০১৮৮০৭৬৮৪, কেন্দ্র- কলাপাড়া। প্রবেশপত্রে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে আরবী প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা দেয়ার। কিন্তু আরবী প্রথমপত্র পরীক্ষা সম্পন্ন হয় রবিবার। আর সোমবার ছিল দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা। এই দিন পরীক্ষা দিলেই হবে এমন কথা বলে দেয় সহকারী শিক্ষক মাওলানা আব্দুল মজিদ। ওই নির্দেশমতে লাভলী তার বাবাকে সঙ্গে নিয়ে খেপুপাড়া নেছার উদ্দিন সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যায়। হলে পৌছলে প্রবেশপত্র ধরিয়ে দেন শিক্ষক আব্দুল মজিদ। কিন্তু প্রথম দিনে অনুপস্থিত থাকার কারনে দ্বিতীয় দিন পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ নেই। ফলশ্রুতিতে কর্তৃপক্ষ হল থেকে লাভলীকে বের করে দেয়। এভাবে ওই মাদ্রাসার দুই শিক্ষকের অজ্ঞতা ও দায়িত্বহীনতার কারনে লাভলীর এবছর আর পরীক্ষা দেয়া হলোনা। নবম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত লাভলী বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে দশম শ্রেণীতে ভর্তির স্বপ্ন দেখছিল। তার রোল নম্ব চার। কিন্তু সেই স্বপ্ন তার উবে গেছে। আবার আগমী বছর তাকে সকল বিষয় জেএসসি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।

লাভলীর স্বল্প শিক্ষিত পিতা আব্দুল মালেক তালুকদার জানান, শিক্ষকরা যদি না জানে আমরা কিভাবে জানব। বর্তমানে লাভলী ও তার গোটা পরিবার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা আব্দুল মজিদ  জানান, আমার কাছে মাদ্রাসা সুপার এডমিটকার্ড আজকে দিয়ে ওই ছাত্রীর কাছে দিতে বলেছে। মাদ্রাসা সুপার সাইদ আহমদ জানান, পরীক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক হিসাবে মজিদ স্যারের কাছে পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনেই সকল এডমিট দেয়া ছিল। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী জানান, তার কাছে ওই ছাত্রীর অভিভাবক গিয়েছিল। তাকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

 

আরও পড়ুন

Back to top button