গৌরনদীর এক ব্যবসায়ীকে হত্যার উদ্দেশ্যে লক্ষিপুরে অপহরন

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥ দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কসবা গো-হাটের এক ব্যবসায়ীকে হত্যার উদ্দেশ্যে লক্ষিপুরের সাতচর গ্রামে বসে অপহরন করা হয়েছে। অপহরনের দু’দিন পর অপহৃতা ব্যবসায়ী পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করেছেন। অপহরকারীরা ব্যবসায়ীর সাথে থাকা নগদ আড়াই লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

কসবা গো-হাটের ব্যবসায়ী ও বড়কসবা গ্রামের মৃত সাহেব আলী খানের পুত্র মোঃ পিন্টু খান অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন থেকে তিনি হাটের মহাজনদের কাছ থেকে বাকিতে গরু ক্রয় করে বালামিদের (গরু ব্যবসায়ীদের) কাছে বিক্রি করে আসছেন। এরইমধ্যে লক্ষিপুরের সাতচর এলাকার বালামিদের কাছে তার মোটা অংকের টাকা বাকি পরে। ওই টাকা উত্তোলনের জন্য গত ১৩ নবেম্বর তিনি (পিন্টু খান) লক্ষিপুরে যান। সেখানকার বালামি লক্ষিপুরের জিয়েমহাটের সাতচর গ্রামের ভজা বেপারী, শাহআলম বেপারী ও মাইনউদ্দিন বেপারীর কাছ থেকে তিনি বাকির আড়াই লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন। অভিযোগে আরো জানা গেছে, অপর বালামি আরিফ বেপারী, বাদশা মাঝি ও কাজল বেপারীর কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা কৌশলে ব্যবসায়ী পিন্টু খানকে অপহরন করে। সাতটি মটরসাইকেলযোগে ওই এলাকার নুরুল ইসলাম বেপারীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীরা পিন্টু খানকে অপহরন করে নির্জন এলাকায় নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা পিন্টু খানকে মারধর করে তার সাথে থাকা আড়াই লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরকারীরা ব্যবসায়ী পিন্টু খানকে একটি ঘরে আটক করে রাখে। সেখান থেকে কৌশলে দু’দিন পর ব্যবসায়ী পিন্টু খান পালিয়ে নিজের জীবন রক্ষা করেন।