চেয়ারম্যানের শ্যালক বলে কথা!

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আগৈলঝাড়ায় কলেজ গেটে প্রকাশ্য দিবালোকে উপজেলা চেয়ারম্যানের শ্যালকের নেতৃত্বে দু’ছাত্রলীগ কর্মীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে পুলিশে দেয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, রোববার বিকেলে উপজেলা সদরের শহীদ আ. রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজ গেটে অবস্থানরত ছাত্রলীগ কর্মী  মামুন ফরিয়া ও শুক্কুর শাহ অবস্থান করছিল। এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা খানের শ্যালক আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে আরিফ, সাগর, পলাশ খাঁন,ফাইজুল সন্যামত সহ ৭/৮ জনের একটি দল মোটর সাইকেল যোগে ধাওয়া করে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাদের আহত করে। আহতরা রাস্তার পার্শ্বে পরে গেলে সেখান থেকে তাদের উঠিয়ে সদর বাজারের কালীখোলা নামক স্থানে নিয়ে আবারও মারধর করে গুরুতর আহত করে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা সাবেক চীফ হুইফ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ সম্পর্কে মামুন ও শুক্কুর বে-ফাঁস মন্তব্য করেছে এমন অভিযোগ করে আহতদের পুলিশে দেয়।

আহত, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা খানের সাথে উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী শ্রীচরণ বৈরাগীর একটি দোকান ঘর নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে উপজেলা চেয়ারম্যান ওই দোকান তালাবদ্ধ করে রাখে। গত ৩ দিন পূর্বে ওই দোকান ঘর ছাত্রলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোয়েব ইমতিয়াজ লিমনের নেতৃত্বে তালা খুলে দেয় মামুন ও শুক্কুর সহ উপন্থিতিরা। এঘটনার জের ধরে গতকাল রোববার বিকেলে চেয়ারম্যানের শ্যালক আমিনের নেতৃত্বে মামুন ও শুক্কুরকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে থানায় সোপর্দ করে। এর আগের দিন লালনকেও আমিনের লোকজন মারধর করে আহত করে থানায় দিয়েছিল বলে পুলিশ জানায়। এব্যাপারে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অশোক কুমার নন্দি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, যাদের থানায় দেয়া হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই যে, আটক রাখা যাবে। যারা থানায় দিয়েছে তারাই এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বলেও তিনি জানান।

এব্যাপারে ছাত্রলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোয়েব ইমতিয়াজ লিমন বলেন, শ্রীচরণের সাথে চেয়ারম্যানের দোকান ঘর নিয়ে বিরোধের জের ধরেই মামুন ও শুক্কুরের উপর হামলা করা হয়েছে। এঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা খান সাংবাদিকদের জানান, ওদের নিজেদের মধ্যে গাঁজা নিয়ে দ্বন্দ থাকার জের ধরে মামুন আমিনের মোটর সাইকেলে লাথি মারে। এর জের ধরেই হামলার ঘটনা ঘটেছে। দোকান নিয়ে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি।