ভোলা-বরিশাল রুটে ফের ফেরি বিকল

বরিশাল প্রতিনিধি ॥ ঘন কুয়াশা, ডুবোচর ও দিনের পর দিন ফেরী বিকল থাকায় ভোলা-বরিশাল রুটের তেতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া লাহারহাট ঘাটে ফেরি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে ভোলার সঙ্গে অন্য জেলাগুলোর নৌ যোগাযোগ চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে। আর এজন্য প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন শত শত যাত্রী।

ফেরির ইনচার্জ সিহাব উদ্দিন বলেন, এ রুটে দীর্ঘদিন ধরে অপরিচতা ও দোলনচাপা নামে দুটি ফেরি চলছিল। কিন্তু গত ৬ নভেম্বর থেকে অপরিচতা নামের ফেরিটি বিকল হয়। একটি ফেরি দিয়ে প্রতিদিন পাঁচবার ট্রিপ দেওয়া হচ্ছে। ফলে সৃষ্টি হয়েছে যান জটের। তিনি জানান, লাহারহাট অংশে জট নেই, তবে ভেদুরিয়ায় কিছু যানবাহন আটকে আছে। দোলনচাপা ফেরির মাস্টার জালাল আহমেদ বলেন, ঘন কুয়াশায় বিকন ও মার্কিং বাতি দেখতে সমস্যা হওয়ায় রাতে ফেরি চলাচল করতে পারছে না। রাতের বেলায় যদি ফেরি চলতো তাহলে এতো জট থাকতো না।

এছাড়া গত ১৫ দিন ধরে ফেরিটি বিকল থাকায় সোমবার দুপুর পর্যন্ত ভোলার ভেদুরিয়া ফেরি ঘাটে শতাধিক যান পারাপারের অপেক্ষায় আছে। দুদিন অপেক্ষার পরও অনেক যানবাহন পার হতে পারছে না। পরিবহন শ্রমিক, যাত্রী ও ফেরি স্টাফদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ভোলা-বরিশাল নৌরুট সড়ক পথে ভোলার সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ৩০টি জেলার যোগাযোগ রক্ষা করছে। এ রুট দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানিও হয়ে থাকে। জ্যামে আটকে পড়া ট্রাক চালক মোসলেউদ্দিন বলেন, ‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও পার হতে পারছি না। এ জ্যাম কখন কমবে তাও বুঝতে পারছি না। যাত্রী গোলাম মোরশেদ বলেন, এ রুটে অসংখ্য ডুবোচর রয়েছে। কিছু দূর গিয়ে ফেরি চরে আটকা পড়ে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এজন্য রোগী নিয়ে এ রুটে যাতায়াত অনেক ভোগান্তির।

চালক ও শ্রমিকরা জানান, এ রুটের ভোলা ও বরিশাল অংশের ভেদুরিয়া ঘাট, ঘাষের চর, শ্রীপুরের মাথা ও লাহার হাটে অসংখ্য ডুবোচর রয়েছে। সেখানে ২/৩ ফুটের বেশী পানি থাকে না। অনেক সময়ই জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে চালাতে হচ্ছে ফেরি। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।