কৃষি অধিদপ্তরের নতুন আবিস্কার – পরজীবি উপকারী পোকা ট্রাইকোগ্রামা ও ব্রাকন

কৃষি অধিদপ্তরের বরিশাল জেলার উদ্ভিদ সংরক্ষণ বিষেশষ্ণ এ.টি.এম শহিদুল ইসলাম জানান, জমির ফসল বা সবজি ক্ষেতে যেসব পোকা আক্রমন করে, সেসব ক্ষেতের এক হেক্টর জমিতে একটা ভায়াল (পরজীবি পোকার এক কৌটা) ব্যবহার করতে হয়। পরজীবি পোকা ক্ষতিকারক পোকার ডিমের ওপরে ডিম পেরে তা ধ্বংষ করে দেয়। এতে সবজি ফসল ও সবজি ক্ষেত ক্ষতিকারক পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা পায়।
গৌরনদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার মন্ডল জানান, ট্রাইকোগ্রামা ও ব্রাকন ফসল বা সবজি লাগানোর পর থেকে উত্তোলনের শেষ পর্যন্ত পুরো মৌসুম জুড়ে অমুক্ত করা যায়। সাধারনত সকালে বা পরন্ত বিকেলে ট্রাইকোগ্রামা বোলতা মুক্ত করা উত্তম। প্রখর রোদ এবং অতি বৃষ্টির সময় অমুক্ত করা যাবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গৌরনদী উপজেলার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, নিউজপ্রিন্টের যেকোন কাগজ কেটে চকলেটের কাগজের ন্যায় ভাজ করে প্রায় আড়াই’শ থেকে তিন’শ পেপার চকলেট একটি পাত্রে নিয়ে তাতে একটি ভায়াল ট্রাইকোগ্রামা ঢেলে প্রায় দেড়ঘন্টা মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে। পরবর্তীতে সবজি ক্ষেতের এক মিটার দুরত্বে দুরত্বে সাড়িবদ্ধ ভাবে পেপার চকলেটগুলো গাছের পাতার ডগা অথবা ডালের ফাঁকে স্থাপন করতে হয়।
তিনি আরো জানান, ব্রাকন সাধারনত সকাল আটটা থেকে দশটা অথবা বিকেল চারটা থেকে ছয়টার মধ্যে অবমুক্ত করতে হয়। ক্ষেতের মধ্যে ব্রাকন রক্ষিত পাত্রের মুখ খুলে সাড়িবদ্ধ ভাবে এক মিটার পর পর অবমুক্ত করা উত্তম। ব্রাকন সংরক্ষিত পাত্রটি পিপরার আক্রমন থেকে সংরক্ষন করতে হবে। কাসেমাবাদ গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম তোতা সরদার জানান, ট্রাইকোগ্রামা ও ব্রাকন ব্যবহার করে এবছর তার সবজি ক্ষেত পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা পেয়েছে।
গৌরনদী উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর ক্ষতিকারন পোকার বংশ র্ধ্বংষ করতে ট্রাইকোগ্রামা ও ব্রাকন ব্যবহারের লক্ষে কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করতে প্রশিক্ষন দিয়ে বিনামূল্যে পরজীবি ট্রাইকোগ্রামা ও ব্রাকন পোকা বিতরন করছেন।

রিপোর্ট : খোকন আহমেদ হীরা