কালকিনিতে ভ্যান চালক মোতালেব হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাটকীয়তা

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ রাতের বেলা কালকিনি হাসপাতাল রোড থেকে ঔষধ কিনে বাড়ি ফেরার পথে খুন হয় কালকিনি পৌর এলাকার উত্তর রাজদি গ্রামের ভ্যান চালক মোতালেব খলিফা (৪৮)। পরের দিন সকালে কালকিনি-ভূরঘাটা ব্রীজের নিচ থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করলেও কে বা কারা হত্যা করেছে তা উদ্ঘাটন না হওয়ায় নিহতের স্ত্রী মাসুদা বেগম বাদি হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ৩ মে এ ঘটনা ঘটে।  হত্যার কোন কুলু না পাওয়া গেলেও ঘটনার এক মাস পূর্বে নিহতের থানায় করা একটি জিডির বিবরনে মামলার মোড় উল্টে যায়।

জিডি সুত্রে জানা গেছে, তার পুত্রবধু রেসমা বেগম ও তার বাবা একই গ্রামের লালমিয়া বেপারী, চাচা সুমন বেপারী ও জসিম বেপারী মোতালেব খলিফার বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করতে পারে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই উলেখিত ৪ জন গা-ঢাকা দিয়েছে। এতে পুলিশ ও এলাকাবাসীর সন্দেহের তীর তাদের ওপর। গত সোমবার সকালে নিজ গ্রামের রেন্ডিতলা থেকে লালমিয়া বেপারী (৫০) কে পুলিশ আটক করে। কিন্তু তার আটকের ঘটনাকে কেন্দ্রকরে চলছে নাটকীয়তা। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানা গেছে, উপজেলা আ’লীগের এক প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক এক পৌর কাউন্সিলরের মধ্যেস্থতায় দেড়লক্ষ টাকায় পুলিশের সাথে রফাদফা হয়েছে সন্দেহ ভাজন আসামিদের।

এক্ষেত্রে পুলিশ নাটকীয়তার অংশহিসেবে আটককৃতকে জেলহাজতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করবে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে জিজ্ঞাসা বাদে কিছু পাওয়া যায়নি বলে উল্লে¬খ করে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। আর চুক্তিকৃত টাকা সংগ্রহ করতে আসামিরা তাদের নিজ বাড়ির কিছু অংশ ও বশির শরিফ নামের একজনের কাছে সম্পত্তি  বিক্রি করেছে।

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম শাহীন মন্ডল বলেন ‘ টাকা নেয়ার কথা ভিত্তিহীন। তবে পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ অর্থ হাতিয়ে নিতে পারে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব’।