মন্ত্রী বড়, না দেশ বড়?

সোহরাব হোসেনঃ ভারতে ড. মনমোহন সিংয়ের বর্তমান মন্ত্রিসভা ও বাংলাদেশে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার বয়স কাছাকাছি। শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেন ৬ জানুয়ারি ২০০৯ এবং মনমোহন সিং ২২ মে ২০০৯।
মনমোহন সিং এরই মধ্যে তাঁর মন্ত্রিসভায় তিন-চারবার পরিবর্তন এনেছেন। দুর্নীতি ও অদক্ষতার অভিযোগ ওঠার পর বেশ কয়েকজনকে বাদ দিয়েছেন। কয়েকজনের দপ্তর বদল করেছেন। তাঁর মন্ত্রিসভার একাধিক মন্ত্রী দুর্নীতির অভিযোগে এখন জেলে আছেন।

কিন্তু বাংলাদেশে শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভা বলতে গেলে অনড়, অব্যয় ও অপরিবর্তনীয়। প্রথমে বলা হয়েছিল, মন্ত্রিত্ব কারও স্থায়ী নয়। কাজে সাফল্য দেখাতে পারলে মন্ত্রিত্ব থাকবে, দেখাতে না পারলে থাকবে না। গত পৌনে তিন বছরে কারও মন্ত্রিত্ব যায়নি। মন্ত্রিসভা গঠনের একেবারে শুরুতে দু-একজন মন্ত্রীর দপ্তর পুনর্বিন্যাস এবং কয়েকজন প্রতিমন্ত্রীর যোগ ছাড়া মন্ত্রিসভার কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। (অবশ্য তানজিম আহমদ সোহেল তাজের বিষয়টি এখনো রহস্যজনক। তিনি মন্ত্রিসভায় আছেন কি নেই, সে ব্যাপারে সরকার স্পষ্ট করে কিছু বলছে না)। এর মাধ্যমে সরকারপ্রধান সম্ভবত বোঝাতে চাইছেন, তাঁর মন্ত্রিসভার সব সদস্যই সৎ, দক্ষ ও যোগ্য।

কিন্তু বাস্তব অবস্থা কী? ক্ষমতারোহণের এক বছরের মাথায় প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছিলেন, তাঁর মন্ত্রিসভার কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেই। কিন্তু তিন বছরের কাছাকাছি এসে এখন সেই কথা বলার সুযোগ নেই। বিশাল মন্ত্রিসভার হাতেগোনা কয়েকজন ছাড়া বাকি সবার সম্পর্কে জনগণের ধারণা নেতিবাচক। কোনো কোনো মন্ত্রণালয় সম্পর্কে এমন কথাও চালু আছে, ‘মন্ত্রী না থাকলে দপ্তরটি আরেকটু ভালো চলত, দুর্নীতি কম হতো।’

মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে যত দুর্নীতি ও অদক্ষতার অভিযোগই থাকুক না কেন, কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কাউকে বদল করা হয়নি। এর কারণ কি সব অদক্ষ মন্ত্রীর ব্যর্থতার দায় প্রধানমন্ত্রী নিজের কাঁধে নিয়েছেন? ক্ষমতায় থাকতে বাংলাদেশে কেউ দুর্নীতি ও ব্যর্থতা স্বীকার করেন না। ক্ষমতাচ্যুত হলেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব কাহিনি।

এ কথা মানি, সংসদীয় গণতন্ত্রে কাউকে মন্ত্রী রাখা না-রাখা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। সংসদীয় দল যাঁকে দায়িত্ব দেবে, রাষ্ট্রপতি তাঁকেই মন্ত্রিসভা গঠনের আহ্বান জানাবেন। তিনি যাঁদের যোগ্য ও বিশ্বস্ত মনে করবেন, তাঁদের নিয়ে সরকার গঠন করবেন। সেভাবেই শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা গঠন করেন। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারলে সরকারের পতন ঘটে, কিন্তু বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বা মহাজোট সরকারের সেই আশঙ্কা নেই। জাতীয় সংসদের তিন-চতুর্থাংশের বেশি আসন তাদের দখলে। বিএনপির সংসদ বর্জনের পর সরকারের মতো জাতীয় সংসদেও আওয়ামী লীগের একক কর্তৃত্ব রয়েছে। সংরক্ষিত আরও পাঁচটি নারী আসনও আওয়ামী লীগ পাচ্ছে। আমাদের গণতন্ত্র এখনো সংরক্ষিতের বাইরে যেতে পারল না। এখন যেমন বিএনপি আমলের কথা জানতে পারছি। আওয়ামী লীগ আমলের কথা জানতে হয়তো নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
একটি সরকার বা মন্ত্রিসভার সাফল্য বা ব্যর্থতা কীভাবে নির্ধারিত হয়? নিশ্চয়ই কাজের ভিত্তিতে। জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি সরকার কতটা পূরণ করেছে, কতটা পারেনি তার ভিত্তিতে। মধ্য মেয়াদ পার করে এসে যদি এ ব্যাপারে গণভোট নেওয়া হতো, নারায়ণগঞ্জের ভোটারদের মতো দেশবাসীও সরকারকে লাল কার্ড না হলেও হলুদ কার্ড দেখিয়ে দিত। দেশবাসী সাদা চোখে যাঁদের ব্যর্থতা দেখছে, যাঁদের নিয়ে ঘরে-বাইরে আলোচনা করছে, তাঁদের ব্যর্থতা ও দুর্বলতা প্রধানমন্ত্রী জানেন না, তা বিশ্বাস করা কঠিন। আর যদি জেনেশুনে তিনি অদক্ষদেরই লালনপালন করতে থাকেন, আমাদের কিছু বলার নেই।

শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভার সবাই অযোগ্য ও অদক্ষ, তা কেউ বলবেন না। তাঁর মন্ত্রিসভায় এমন সদস্যও আছেন, যাঁদের বিদেশেও সুনাম আছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে কৃষি উৎপাদনে স্থবিরতা দেখা যায় এবং আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে কৃষি উৎপাদন বেড়ে যায়—এটি কাকতালীয় ঘটনা নয়। এর পেছনে যে মানুষটির কঠোর পরিশ্রম ও মেধা নিয়োজিত, তিনি কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তেমনি শিক্ষা খাতের ব্যাপক সংস্কার, যুগোপযোগী একটি শিক্ষানীতি চালুর কৃতিত্বও দাবি করতে পারেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

কোনো সরকারেই মতিয়া চৌধুরী ও নুরুল ইসলাম নাহিদের মতো সফল মন্ত্রীর সংখ্যা বেশি থাকে না। কিন্তু অধিকাংশের কাজের মান গড়পড়তার নিচে হলে সেই সরকারের পক্ষে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা কিংবা নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ সম্ভব নয়। দুর্ভাগ্যজনক যে আমাদের অধিকাংশ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর কার্যদক্ষতা গড় মানের নিচে। কারও কারও দুর্নীতি এখন ‘ওপেন সিক্রেট’। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা যখন অধিকাংশ নবীন ও গুটিকয়েক প্রবীণ সদস্য নিয়ে ৩২ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন, তখন কেউ প্রশ্ন তোলেনি। কিন্তু ৩৪ মাস পর এসে অনেকেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন, নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁদের রেখে কী লাভ?

সাম্প্রতিক কালে যে দুজন মন্ত্রীকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হচ্ছে, তাঁদের একজন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, অপরজন টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ।
সারা দেশের রাস্তাঘাট ও রেলওয়ের বেহাল অবস্থাই প্রমাণ করে, যোগাযোগমন্ত্রী কী ধরনের কৃতিত্ব দেখিয়েছেন, দেখাচ্ছেন। এত দিন বলা হতো, বড় বড় প্রকল্পের কারণে সড়ক মেরামতের মতো মামুলি (!) কাজে তিনি সময় দিতে পারেননি। যে কারণে গত রোজার ঈদের আগে বাসমালিক ও শ্রমিকেরা ধর্মঘট ডেকেছিলেন। এখন দেখা যাচ্ছে, যোগাযোগ খাতের কোনো প্রকল্পই ঠিকঠাকমতো এগোচ্ছে না। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক সংস্কারকাজও আটকে গেছে।

কিন্তু মন্ত্রীর সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হলো, পদ্মা সেতুর নির্মাণ-প্রক্রিয়ার কাজ মাঝপথে থমকে যাওয়া। পদ্মা সেতুর বৃহত্তম দাতা সংস্থা ও দাতাদের সমন্বয়কারী বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন স্থগিত রেখেছে ‘জালিয়াতি ও দুর্নীতির’ অভিযোগে। তাদের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ‘যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের পারিবারিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সাকো ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি সম্ভাব্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে গিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন দাবি করেছে।’ দুর্নীতির অভিযোগ আছে, তালিকাভুক্ত একটি কানাডীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও।

এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে গিয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন। সরকারের পক্ষে অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা বিশ্বব্যাংকের কাছে দুটি চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু এসব ব্যাখ্যা ও চিঠিতে বিশ্বব্যাংক যে মোটেই আশ্বস্ত হতে পারেনি, তা তাদের জবাবেই স্পষ্ট। তারা বলেছে, পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্পে কোনো রকম দুর্নীতি প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।

সরকারের পক্ষ থেকে কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন, পদ্মা সেতুর মূল কাজ শুরুই হয়নি, তাহলে দুর্নীতির প্রশ্ন আসে কী করে? দুর্নীতি হবে না—বিশ্বব্যাংক সেই নিশ্চয়তাই চায়। এখানে নৈতিকতার প্রশ্নটি বড়। যে প্রকল্পের প্রধান নির্বাহী যোগাযোগমন্ত্রী, সেই প্রকল্পের কাজের ব্যাপারে তাঁর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান তদবির করতে পারে কি না? এর মাধ্যমে তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন কি না? শপথনামায় বলা হয়েছে, সরকারি দায়িত্ব পালনকালে তিনি ব্যক্তিগত রাগ বা অনুরাগকে প্রশ্রয় দেবেন না। তাঁর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান তাঁর নাম ভাঙিয়ে যদি মোটা অঙ্কের সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করে, তার দায়িত্ব মন্ত্রী কী করে এড়াবেন? দুদকের মুলো ঝুলিয়ে দেশবাসীর চোখে ধুলো দেওয়া গেলেও বিশ্বব্যাংককে আশ্বস্ত করা যাবে না। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘রাতারাতি সমস্যার সমাধান হবে না। সময় লাগবে।’ কত সময়—২০১২, ২০১৩, ২০১৪? তাহলে তো সরকারের এই মেয়াদে পদ্মা সেতুর মূল কাজ শুরুই হবে না।

রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে যে কথাটি ব্যাপকভাবে চাউর আছে, তা হলো সৈয়দ আবুল হোসেনকে দায়িত্বে রাখলে পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন করবে না বিশ্বব্যাংক।

এখন প্রশ্ন হলো, প্রধানমন্ত্রী অবিলম্বে পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন চান কি না? চাইলে বিশ্বব্যাংকের টাকা লাগবে। আর বিশ্বব্যাংকের টাকা পেতে হলে এই প্রকল্প থেকে সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ দিতে হবে। ২৯০ কোটি ডলারের প্রকল্পের ১২০ কোটি দেওয়ার কথা বিশ্বব্যাংকের। বিশ্বব্যাংক টাকা না দিলে অন্যান্য দাতা সংস্থা—জাইকা, এডিবি ও আইডিবিও দেবে না—জানিয়ে দিয়েছে।
২০০৯ সালে মন্ত্রিসভা গঠনের সময় প্রধানমন্ত্রী নাকি দক্ষতা ও যোগ্যতার চেয়ে আনুগত্য ও বিশ্বস্ততাকে বেশি মূল্য দিয়েছেন। তাতে দোষের কিছু নেই। আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর একজন সদস্য ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় বলেছেন, ‘আলোচিত মন্ত্রী তো এক-এগারোর পর দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সে ক্ষেত্রে তাঁর আনুগত্যই বা নিঃশর্ত হলো কী করে?’

টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি ভিন্ন। তিনি পেশাদার রাজনীতিক। নামকরা ছাত্রনেতা ছিলেন। কিন্তু রাজনীতি করতে গিয়ে কতটা পেশাদারি রক্ষা করতে পেরেছেন, কতটা দলীয় কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছেন, সে প্রশ্নটি এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।

সম্প্রতি নরসিংদীর পৌর মেয়র লোকমান হোসেন খুনের ঘটনায় মন্ত্রীর ভাই ও এপিএসের নাম এসেছে। তাঁরা দুজন এজাহারভুক্ত আসামি হলেও ধরা পড়েননি। যাঁরা ধরা পড়েছেন, তাঁরা মন্ত্রীর ভাই ও এপিএসের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসার মতো লোকমান হত্যার তদন্তে নরসিংদীর স্থানীয় রাজনীতির কুৎসিত দিকটি বেরিয়ে এসেছে।

দলের ভেতরে নেতৃত্ব ও কর্তৃত্বের বিরোধ থাকা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে এভাবে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে হবে? এটি কী ধরনের রাজনীতি? পুলিশের তদন্তে এবং আসামিদের জবানবন্দিতে যেসব তথ্য বেরিয়ে আসছে, তা রোমহর্ষক। এক বছর ধরে লোকমানকে খুন করার নীলনকশা তৈরি হয়। সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে প্রচণ্ড বৈরিতা, কেউ কারও মুখ দেখতে পারে না। কিন্তু পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে দেখতে পাচ্ছি, নরসিংদীতে আওয়ামী লীগের এক নেতা ঘাতক ভাড়া করেছেন আর বিএনপির আরেক নেতা সেই ভাড়ার টাকা জোগান দিয়েছেন। তারপর হত্যা পরিচালনার দিনক্ষণ ঠিক করে দুই দলের দুই নেতা মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন।

এ ঘটনায় মন্ত্রীর সম্পৃক্ততা আছে কি নেই, তা তদন্তসাপেক্ষ। কিন্তু সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মন্ত্রীর উচিত নিজের অবস্থান পরিষ্কার করা। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ডেকে নিয়ে বলেছেন, ‘মন্ত্রীকেই প্রমাণ করতে হবে, তিনি নির্দোষ।’ কিন্তু মন্ত্রী পদে থাকতে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হবে না বলে দাবি নিহত লোকমানের পরিবারের। সে ক্ষেত্রে মন্ত্রীরই কি স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ানো উচিত নয়? তদন্তে যদি লোকমান হত্যার সঙ্গে সত্যিই তাঁর সম্পৃক্ততা প্রমাণিত না হয়, তিনি আবার মন্ত্রিসভায় ফিরে আসবেন।
এখন প্রধানমন্ত্রীই ঠিক করুন—মন্ত্রী বড়, না দেশ বড়? এই মুহূর্তে তাঁর কাছে কোনটি প্রাধান্য পাবে—যোগাযোগমন্ত্রী, না পদ্মা সেতু?