কলাপাড়ায় এক বধূর সম্ভ্রম হানির ঘটনায় বেত্রাঘাত

বরিশাল প্রতিনিধি ॥ দরিদ্র কিশোরী গৃহবধুর সম্ভ্রমহানির ঘটনায় বেত্রাঘাত ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করায় কলাপাড়া উপজেলার চর চান্দুপাড়া গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।এদিকে গৃহবধুর শ্বশুর ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে কলাপাড়া থানায় একটি লিখিত আভিযোগ দায়ের করেছে।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চর চান্দুপাড়া গ্রামের দিনমজুর আব্দুর রহিমের মেয়ে লিজা (১৫) সাথে এক বছর আগে একই গ্রামের রজ্জব আলীর পুত্র রেজাউলের বিয়ে হয়। জীবিকার সন্ধানে রেজাউল প্রায়ই বাড়ির বাইরে কাজে বের হতো। এ সুযোগে একই গ্রামের চান্দু মিয়ার পুত্র চার সন্তানের জনক সাহাবুল নানা প্রলোভন দেখিয়ে ওই গৃহবধুর সাথে কুকর্মে লিপ্ত হয়ে পরে। এক পর্যায় গত ১৭ নভেম্বর রাতে গৃহবধুর লিজার শ্বশুর রজ্জব আলী অবৈধ ভাবে কুকর্মের ঘটনাটি টের পেয়ে স্থানীয় লোকদের জানায়। ঘটনার দুই দিন পর গৃহবধুর মামা জব্বার হাওলাদারের বাড়িতে ইউপি মেম্বার চেয়ারম্যান ছাড়াই তড়িগড়ি করে এ ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে লম্পট সাহাবুলের আত্মীয়-স্বজন নিয়ে শালিশ বৈঠক বসলে সাহবুলকে বেত্রা ঘাত ও ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় মাহাতাব খাঁ, জব্বার হাং, দুলাল হাং, জামাল মল্লিক, বজলুর মাঝি সহ ২০/২৫ জন উপস্থিত ছিলো বলে শালিশদার আক্কাস হাং জানান। এ খবর টি এলাকায় জানা জানি হয়ে গেলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে গৃহবধুর শ্বশুর রজ্জব আলী ২১ নভেম্বর কলাপাড়া থানায় এ ঘটনার বিচার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বর্তমানে গ্রাম্য শালিসদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ওই পরিবারটি।

এ ব্যাপারে লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে আমি অবগত নই।

দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা এ এস আই শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনাটির তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।