গলাচিপার শুঁটকি শিল্প ধংশের পথে

উম্মে রুমান, বরিশাল ॥ পটুয়াখালী গলাচিপার সোনারচর শুঁটকিপাল্লী রাজস্ব আদায়ে সহায়ক ভূমিকা রাখলেও এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা রয়ে গেছেন অনাদরে অবহেলায়। এ চরের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় তিন হাজার শিশু ও বয়স্ক পুরুষ কোটি কোটি টাকা আয়ের শুঁটকি উৎপাদনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এ চরে শুঁটকি উৎপাদন করে প্রতিবছর আয় হয় কয়েক কোটি টাকা। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে প্রতিবছর সমপরিমান অর্থের মাছ পচে যায়। তবুও শুঁটকি  উৎপাদনের বিশাল সম্ভাবনাময় খাতটির দিকে কারো কোনো নজার নেই। সরেজমিন পরিদর্শনকালে জেলে ট্রলার মালিক ও শুঁটকি ব্যবসায়ীরা এসব তথ্য জানান। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্বাধীনতাপূর্ব সময়ে সোনারচরের গোড়াপত্তন হয়েছিল। সোনারচরের উপর দিকে চরআন্ডা, পশ্চিমে চরকবির, দক্ষিণে রূপারচর এবং বঙ্গোপসাগর অক্টোবার থেকে মে মাস পর্যন্ত শুঁটকি উৎপাদনের ভরা মৌসুম। সোনারচরে ৮০ ধরনের মাছের শুঁটকি করা হয়। এর মধ্যে কাঁচা চালি, মধু ফাইলসা, হলূয়া, টাগার, চাঁদা, ছুরি, রূপচাঁদ, তপশি, মটকা, চাপালি, চাপা, পাচালা হাঙ্গর, সুরমা, কইট্রা, পোয়া ও আট প্রজাতির চিংড়ি উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে শুধু চিংড়ি প্রজাতির কাঁচা চালি বরফজাত করা হয়। বঙ্গোপসাগর থেকে প্রতিদিন শত শত টন মাছ সোনারচরে নিয়ে আসা হয়। শ্রমিকরা মাছগুলো বাঁশ ও বেতের তৈরি সাজি ভরে পানিতে ধুয়ে আনে। ধোয়া মাছ স্তুুপাকারে পলিথিন ও হোগলায় রাখা হয়। শিশু শ্রমিকরা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আলাদা করে। মাছের মাথা ভাঙা শুরু করে সকাল থেকে  রাত্র  ছটকা ও বাঁশের কঞ্চি দিয়ে প্রখর রোদে দায়িত্ব পালন করে।